হাসপাতাল চত্বরে উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে খোয়াইয়ে জেনরিক মেডিসিন পরিষেবার সূচনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৯ জুলাই ৷৷ খোয়াই জেলা হাসপাতালে চালু হতে যাচ্ছে জেনরিক মেডিসিন পরিষেবা৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে খোয়াই জেলা হাসপাতালেও জন ঔষুধি বা জেনরিক মেডিসিন কাউন্টার উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়৷ বিগত এক বছর যাবৎ কোনও এক অজ্ঞাত কারনে তারিখ পরিবর্তন হতে হতে শেষ পর্যন্ত শনিবার ৯ই জুলাই জেনরিক মেডিসিন কাউন্টারের সূচনা হল৷ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিপুল আয়োজন৷ কিন্তু সরকারী নিয়ম-নীতিকে চুলোয় দিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জানান দিতে লাগানো হল উচ্চস্বরে মাইক, সাউন্ড সিস্টেম৷ যেখানে সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী হাসপাতাল এলাকার দুশ মিটারের মধ্যে কোন উচ্চস্বরে মাইক, গাড়ীর তীব্র আকারে হর্ণ বা অন্যান্য সাউন্ড সিস্টেমং বাজানো নিষেধ এবং এই নির্দেশ অমান্য করলে জেল-জরিমানাও হতে পারে, সেখানে কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত জেনরিক মেডিসিন কাউন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে হাসপাতালের অভ্যন্তরেই বাজল একাধিক মাইক৷ হাসপাতালের চারদিকেই মাইক লাগিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ এদিন প্রমান করল আসলে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে উনারা কতটুকু যত্নশীল৷ এছাড়া শব্দ দুষনের মাত্রাও তো এদিন সব গন্ডি পেরিয়ে গেল৷ হাসপাতালের অভ্যন্তরে শব্দ দুষনের জন্য দায়ি হাসপাতাল৷ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে কি তবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
22222222উদ্যোক্তারা ভাবছেন সরকারী টাকা যেভাবে খুশি খরচ কর এবং কামিয়ে নাও৷ অথচ জনগন ভাবছেন জনগনের টাকা চাকচিক্যে খরচ না করে প্রচার বাবদ যদি খরচ হত তাহলেও মঙ্গল হত৷ কারন খোয়াই জেলা হাসপাতালে জেনরিক মেডিসিনের পরিষেবা গ্রহন করবে সাধারন শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষরাই৷ শহরবাসী বা পুঁজিপতি নেতা আমলাদের এই সুযোগের প্রয়োজন নেই৷ খোয়াই-রামচন্দ্রঘাট আশারামবাড়ী সহ খোয়াই পুর সভা এলাকা বাদ দিলে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজারের মতো জনগন এই পরিষেবার সুযোগ পাবার কথা৷ অথচ উদ্যোক্তারা জেলা হাসপাতালে শুধুমাত্র অনুষ্ঠান করে এবং অনুষ্ঠান বাবাদ বিভিন্ন খরচ যেমন কাউন্টার বানাতে মেরামতি করা, রং দেওয়া, ইলেকট্রিক বাবদ এবং সেই সাথে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য তৈরী প্যান্ডেল বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ দেখাবে৷ উদ্যোক্তারা ভাবছে সরকারি টাকা লুটে নাও এবং জনগন ভাবছে কিভাবে গনহারে লুট হচ্ছে আম জনতার টাকা৷ কিন্তু এসব দেখবে কে?
ঘটা করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ দেখিয়ে জেনরিক মেডিসিন কাউন্টার উদ্বোধন করা হলো কিন্তু গ্রামে গঞ্জে, পাহাড়ে সমতলে নেই কোন প্রচার৷ এর পেছনে অন্য কোন কুমতলব রয়েছে কিনা তাই বোঝে উঠতে পারছেন না জনসাধারন৷ এমনকি বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমকে এমন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানানো হয়নি৷ এখ আধিকারিক বলেই ছিলেন, সংবাদ মাধ্যমকে জানালেই বিপদ৷ কত টাকা খরচ হয়েছে, প্রচার কেন হয়নি এমন বহু প্রশ্ণের উত্তর দিতে হয়৷ সুতরাং একাংশ মিডিয়াকে না জানানোই ভাল৷ অথচ এরাই প্রচারের আলোতে আসতে ব্যস্ত থাকেন৷
অপরদিকে খোয়াই জেলা হাসপাতালের জেনরিক মেডিসিন কাউন্টারের সামনে যে সাইনবোর্ডে লাগানো হয়েছে সেটি কেন ইংরেজিতে লেখার পাশাপাশি রাজ্যের দুটি স্বীকৃত সরকারী ভাষা বাংলা ও ককবরকে লেখা হলনা? প্রশ্ণ উঠছে জনমনে৷ গ্রাম-পাহাড় থেকে যেসব সাধারন মানুষজন এই পরিষেবা নিতে আসবেন তারা কি করে জেনিরক মেডিসিন কাউন্টারটি খঁুজে পাবেন? তাছাড়া কাউন্টারটি দেখলে মনেই হয়না যে এটি একটি মেডিসিন কাউন্টার৷ নাকি এর মধ্যেও কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে৷ এনিয়ে জনমনে গুঞ্জন অব্যহত৷ তাই অচিরেই জেনরিক মেডিসিন কাউন্টারটির সামনে বাংলা এবং ককবরকে সাইনবোর্ডে লাগিয়ে জনগনের জন্য একটু সহৃদয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জনসাধারন৷ সেই সাথে জেনরিক মেডিসিন ও কাউন্টার নিয়ে আরও ব্যপক প্রচারের দাবিও জানানো হয়েছে৷ উদ্দেশ্য একটাই, জনগনের জন্য চালু করা সরকারী এই সুবিধা জনগনের হাতে বাস্তবে পৌঁছবে এবং জনগন এতে উপকৃত হবেন৷ এমটাই প্রত্যাশা খোয়াইবাসীর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *