নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জুলাই৷৷ ফের ব্রাউনসুগার উদ্ধার৷ এবারে শিলচর-আগরতলা রেল থেকে৷ ১ কেজি ৩৬৫ গ্রাম ব্রাউনসুগার উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ উদ্ধার হওয়া ব্রাউনসুগারের মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা৷ তবে কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি৷
সংবাদে প্রকাশ, ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ান বিএসএফের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল শিলচর-আগরতলা ০৫৬৬৫ নম্বরের রেলে করে ব্রাউনসোগার চোরাচালান করা হচ্ছে৷ সেই খবরের ভিত্তিতে বিএসএফের ঐ ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডেন্ট কুলজিৎ সিংহ বিশাল সংখ্যায় জওয়ানদের নিয়ে পানিসাগর স্টেশনে যান৷ সেখানে রেলটি পৌঁছতেই বিএসএফ তল্লাসী অভিযান চালায়৷ ব্রাউনসুগারের ছোট ছোট প্যাকেটগুলি একটি বড় প্যাকেটে রাখা ছিল৷ জওয়ানরা ব্রাউনসোগার উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও কাউকেই আটক করতে পারেনি৷ পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ উদ্ধার হওয়া ব্রাউনসুগার জিআরপিএস এর ওসি ইন্দজিৎ সিনহার হাতে তুলে দিয়েছে৷
এদিকে এর আগেও গত মাসে এই ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ান বিএসএফের জওয়ানরা ব্রাউনসুগার সহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল৷ ত্রিশ লক্ষ টাকার ব্রাউনসুগার সহ এক পাচারকারী বিএসএফের জালে ধরা পড়েছিল৷ ঘটনাটি ঘটেছিল১২ জুন ধর্মনগর মোটরস্ট্যান্ডের কাছে৷ ধৃত যুবকের নাম গিয়াস উদ্দিন৷ তার কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম ব্রাউনসুগার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল৷ পরে তাকে ধর্মনগর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল বিএসএফ কর্তৃপক্ষ৷
সংবাদে প্রকাশ, ধর্মনগরের বিষ্ণুপুর এলাকায় কর্তব্যরত বিএসএফের ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল একটি গাড়িতে করে পাচারকারী প্রচুর পরিমাণে ব্রাউনসুগার পাচার করছে৷ সেই গোপন খবরের ভিত্তিতে বিএসএফ জওয়ানরা ধর্মনগর আইএসবিটি এর সামনে যানবাহন চেকিংয়ের কর্মসূচী হাতে নেয়৷ টিআর-০১-বি-১৪৫৮ নম্বরের একটি গাড়িতে তল্লাসী চালনোর সময় গিয়াস উদ্দিনকে সন্দেহ জনক বলে মনে হয় বিএসএফ জওয়ানদের৷ তার ব্যাগে তল্লাসী চালিয়ে ৪০০ গ্রাম ব্রাউনসুগার উদ্ধার করেছিল৷
বিএসএফ জওয়ানরা তাকে ক্যাম্পে নিয়ে যায়৷ তাকে জোর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ তার কাছ থেকে নেশা সামগ্রী চোরাচালানের বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বিএসএফের হাতে লেগেছিল৷ তদন্তের স্বার্থে বিএসএফ বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি৷ এদিকে পরে বিএসএফ কর্তপক্ষ উদ্ধার হওয়া ব্রাউনসোগারের নমুনা বর্হিরাজ্যে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে৷ অন্যদিকে পরে রাতেই বিএসএফ জওয়ানরা ধৃত পাচারকারী গিয়াস উদ্দিনকে ধর্মনগর থানায় হস্তান্তর করেছিল৷ তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা নেওয়া হয়৷ পুলিও ধৃত যুবককে জোর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য৷
এদিকে, একের পর এক মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে৷ রাজ্যে নেশা চোরাচালানের একটি বড় চক্র সক্রিয় রয়েছে৷ এই চক্রটি রাজ্যের যুব সমাজের হাতে এইসব মাদক সরবরাহ করে চলেছে৷ এই চক্রটি আন্তঃরাজ্য বলে জানা গিয়েছে৷ অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনকে এই মাদক চোরাচালান চক্রের পান্ডাদের জালে তুলতে সফল না হলে যুব সমাজ ধবংসের পথে চলে যাবে৷