খোয়াইয়ের নিকুঞ্জ বর্মন হত্যা মামলায়, মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার, জনমনে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৪ জুন৷৷ খোয়াইয়ের এসডিপিও রাজীব সেনগুপ্ত বদলির হওয়ার প্রাকলগ্ণে খোয়াইতে চাঞ্চ্যকর

নিকুঞ্জ বর্মন হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুবীর দাশগুপ্তকে গ্রেপ্তার করেছে খোয়াই থানার পুলিশ৷ মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব ছবি৷
নিকুঞ্জ বর্মন হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুবীর দাশগুপ্তকে গ্রেপ্তার করেছে খোয়াই থানার পুলিশ৷ মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

নিকুঞ্জ বর্মন হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্তকে জালে তুলল পুলিশ প্রশাসন৷ মদের আসর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার মূল অভিযুক্ত সুবীর দাসগুপ্তকে৷ কিন্তু এসডিপিও রাজীব সেনগুপ্তের বদলির ঠিক পূর্বে ইঠাৎই নিকুঞ্জ বর্মন হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত পুলিশের জালে উঠায় জনমনে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ জনগনের প্রশ্ণ তাহলে কি এসডিপিও সাহেব বদলি না হলে কি গ্রেপ্তার হত না সুবীর দাসগুপ্তা? যদিও সুবীর দাসগুপ্তের গ্রেপ্তারকে সাধারন মানুষ বলছেন, বোঝাপড়ার মাধ্যমে চাম্পাহাওড় থানাধীন বেহলাবাড়ী এলাকার লেংটিবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করার নাটক মঞ্চস্থ করল পুলিশ প্রশাসন৷ পূর্বেই ঘটনার সাথে জড়িত মনোজিৎ চক্রবর্তী, রতন দাস, রামকুমার দেববর্মা, সুধন্য দেববর্মা এবং প্রদীপ দেব, এই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ৷ ধৃতরা ২৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রয়েছে৷ এবার ঘটনার ১৩ দিন বাদে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সুবীর দাসগুপ্তকে গ্রেপ্তার করার নাটক করল পুলিশ প্রশাসন৷
আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও সুবির দাসগুপ্তকে ১৩ দিন ধরে খুঁজে পেলনা পুলিশ? জনমনে এনিয়ে চলছে ব্যপক গুঞ্জন৷ এদিকে নিহত নিকুঞ্জ বর্মনের পরিবার এতে রাজী হলে কেইস ডাইরী একটু হালকা-ফুলকা হবে এবং দোষীরা ছাড়া পেয়ে যেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন জনসাধারন৷ আর এ কারনেই হয়তো ঘটনার ১৩ দিনে বাদে সুবীর দাসগুপ্তকে থানায় আনা হয়৷ অথচ সুবীর দাসগুপ্ত কোন কোন জায়গায় অবস্থান করছিল তার সব খবরাখবরই ছিল পুলিশের কাছে ৷ কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর খোয়াই আশারামবাড়ী লেংটি বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ বর্তমানে থানায় জিজ্ঞসাবাদ চলছে বলে আনা যায়৷ তবে খোয়াইবাসী নিকুঞ্জ বর্মন হত্যা মামলার প্রকৃত দোষীদের চূড়ান্ত সাজা চাইছেন৷ তাই তদন্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার দাবি খোয়াইবাসীর৷
উল্লেখ্য, গত ৩১শে মে মঙ্গলবার লালছড়া এলাকায় নিকুঞ্জ বর্মন নামে ৩৫ বছরের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল মহারাজগঞ্জ বাজার স্থিত বাসস্টন্ড এলাকায়৷ ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে নিকুঞ্জ বর্মনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল৷ আর সবটাই হয়েছিল দুজন পুলিশ কর্মীর সামনেই৷ তাপর থেকে সরগরম হয়ে পড়ে রাজ্য রাজনীতি৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে ডেপুটেশন দেওয়া হয় এসপি’র কাছে৷ এমনকি দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ১২ ঘন্টার বন্ধও পালিত হয়েছে খোয়াইতে৷