নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ মে৷৷ অপ্রত্যাশিত! কিন্তু আরো বেশ কয়েকদিন স্বপ্ণের রেলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷ জুনের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্যে চালু হবে ব্রডগেজে যাত্রী রেল পরিষেবা৷ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন আচরণবিধি এবং সংসদ অধিবেশনের অজুহাতে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র সত্ত্বেও চালু হয়নি ব্রডগেজে যাত্রী রেল৷ বুধবার মুখ্যসচিব যশপাল সিং জানিয়েছেন, আগামী জুন মাসের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ যাত্রী রেল পরিষেবা চালু হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে৷ তার আগে রেলমন্ত্রীর রাজ্যে আসা সম্ভব নয় বলে জানা গেছে৷ তবে, রেলমন্ত্রক চাইছিল রিমোট কন্ট্রোলে শিলং থেকে যাত্রী রেল পরিষেবার সূচনার জন্য৷ কারণ, আগামী ২৭ মে শিলংয়ে পূর্বোত্তর কাউন্সিল বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ রাজ্যের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল শিলংয়ে বসে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে আগরতলায় যাত্রী রেলের সূচনা করবেন৷ কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে আপত্তি জানিয়েছে৷ এদিন, মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফলস্বরূপ ব্রডগেজে যাত্রী রেল পরিষেবা বিরাট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজন করতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ সেক্ষেত্রে শিলংয়ে বসে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে এর সূচনা করা হলে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠবে না৷ রাজ্যের আপত্তিতে রেলমন্ত্রক যাত্রী রেল পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে৷ তাতে, রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু আগামী জুন মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্যে আসতে পারেন বলে সম্ভাবনা রয়েছে৷
এদিকে, পাহাড় লাইনে ধস নামার কারণে শিলচর-গুয়াহাটি রুটে সমস্ত ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে৷ এই রুটে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে বাতিল করেছে৷ এক প্রেস বিবৃতিতে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে জানিয়েছে, ৫৫৬১৬ শিলচর-গুয়াহাটি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি শিলচর থেকে আগামী ১৯ এবং ২০ তারিখ বাতিল করা হয়েছে৷ একইভাবে ৫৫৬১৫ গুয়াহাটি-শিলচর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি গুয়াহাটি থেকে ১৮ এবং ১৯ তারিখ বাতিল করা হয়েছে৷ এদিকে, ২৫৬৫৭ গুয়াহাটি-শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটিও ১৯ তারিখ চলাচল করবে না৷ এই ট্রেনটি বাতিল করা হয়েছে৷ একইভাবে ২৫৬৫৮ শিলচর-গুয়াহাটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি শিলচর থেকে ২০ মে যাত্রা করার কথা ছিল৷ সেটি বাতিল করা হয়েছে৷ এই ট্রেনটি গুয়াহাটি -শিয়ালদা রুটে চলাচল করবে৷ ট্রেন বাতিলের জন্য পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে জানিয়েছে লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ধস নেমেছে৷ কিছু কিছু জায়গায় রেল লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সেগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সারাইয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, আগরতলা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী রেল পরিষেবা সূচনায় বিলম্বের পেছনে পাহাড় লাইনে ক্রমাগত ধস পড়া অন্যতম কারণ৷ পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে সূত্রের খবর, পাহাড় লাইনে ক্রমাগত ধস পড়ায় আগরতলা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী রেল পরিষেবা শুরু করার ঝঁুকি নিতে চাইছে না রেলমন্ত্রক৷ কারণ পাহাড় লাইনে ধস পড়লে স্বাভাবিকভাবেই আগরতলা থেকে কলকাতা বা অন্যত্র যাত্রী রেল চালানো সম্ভব হবে না৷ ফলে, এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে আগরতলা থেকে যাত্রী রেলের সূচনা হয়৷
2016-05-19

