ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দাবী, শহর দক্ষিণাঞ্চলে উচ্ছেদকৃতদের পাশে দাঁড়াল বিজেপি ও কংগ্রেস

BJP DMনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ মে৷৷ রাজধানী আগরতলা শহর এলাকাকে যানজট মুক্ত ও শহরের সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ মাত্রই সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে৷ কিন্তু রাস্তার দুপাশের জমি জবর দখল করে বাড়িঘর দোকানপাট ইত্যাদি তৈরি করেছেন অনেকেই৷ ফলে, উড়ালপুল তৈরির কাজও ব্যাহত হচ্ছে৷ যানজট সমস্যা নিত্যদিনের বিষয় হয়ে উঠেছে৷ রাজ্য সরকার জবর দখলকারীদের সরকারি জমির দখল ছাড়ার জন্য বহুবার নোটিশ পাঠিয়েছে৷ এমনকি সর্বশেষ সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে৷ কিন্তু তারপরও দখলদাররা জমির দখল ছাড়তে চাইছিল না৷ সে কারণেই রাজ্য সরকার কঠোর মনোভাব গ্রহণ করে৷ পুর নিগমের টাস্ক ফোর্স বাহিনী রাজ্য প্রশাসন ও আরক্ষা প্রশাসনের সহযোগিতায় ড্রপগেইট থেকে নাগেরজলা পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের জবর দখলকৃত জমি দখলমুক্ত করার কঠোর মনোভাব গ্রহণ করে৷ এরই মধ্যে বহুবাড়িঘর দোকানপাট ভেঙ্গে জবর দখলকৃত জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে৷ গত ২৪ এপ্রিল এই অভিযান চালানো হয়৷ অভিযান চালানোর ৯দিন পর এই উচ্ছেদ অভিযানকে নিন্দা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সহ প্রত্যেককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি এবং যুব কংগ্রেস৷ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির এই মায়া কান্নাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে৷ যে কোন বিষয় নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলো যে নগ্ণ রাজনৈতিক খেলায় মত্ত হয়ে উঠে তাও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷
বিজেপি সদর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার পশ্চিম জেলার জেলাশাসকের কাছে আগরতলা শহর দক্ষিণাঞ্চলের উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ী ও পরিবারগুলিকে সঠিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে৷ শহর দক্ষিণাঞ্চলের বহু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি বিনা নোটিশে সরকারিভাবে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷ বিজেপি সদর জেলা কমিটি এই বেআইনী উচ্ছেদের তীব্র ঘৃণা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ বিজেপি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হতে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেছেন সদর জেলা কমিটির সভাপতি মানিক দাস৷ তিনি বলেন, বিনা নোটিশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ধাঁচে উচ্ছেদ অভিযানের নামে ত্রিপুরা সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা মোটেই কাম্য নয়৷ রাজ্য সরকারকে তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়৷ এদিকে, ত্রিপুরা প্রদেশ যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও পশ্চিম জেলার জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশান ও স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে৷ যুব কংগ্রেসও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ সহ অন্যান্য দাবি অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ দাবি পূরণ না হলে যুব কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবে বলেও হঁুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷