BRAKING NEWS

রাজ্যে জুমিয়া পরিবার রয়েছেন ২৭ হাজার ৪ শতেরও বেশী ঃ বিধানসভায় মন্ত্রী

Aghore Debbarmaনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ মার্চ৷৷ ২০০৬ ইং সালে বন দপ্তরের মাধ্যমে করা জুমিয়া সার্ভে অনুযায়ী রাজ্যে ২৭ হাজার ৪ শত ৭৭  টি জুমিয়া পরিবার রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজাতি কল্যান মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা৷ আজ বিধানসভায় এক প্রশ্ণের উত্তরে তিনি জানান, উপজাতি কল্যাণ দপ্তর রাজ্যে বসবাসকারী সকল উপজাতি সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প তথা বহুমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়িত করেছে৷ রাজ্যে বসবাসকারী জুমিয়া পরিবারগুলিকে অগ্রধিকারের ভিত্তিতে এই সকল কর্মসূচী তথা প্রকল্পের অধীনে সহায়তা করা হয়ে থাকে৷ রাজ্যে সকল উপজাতি সম্প্রদায়ের আর্থিক বিকাশ বিশেষ করে উপজাতি জুমিয়া পরিবারের আর্থিক তথা সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে উপজাতি কল্যাণ দপ্তর যে সকল কর্মসূচী বাস্তবায়িত করেছে সে গুলি হল , শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্নমুখী কর্মসূচী ছাত্রবাস বৃত্তি প্রদান, প্রাক-মাধ্যমিক বৃত্তি প্রদান, মাধ্যমিকোত্তর বৃত্তি প্রদান, মাধ্যমিকোত্তর বৃত্তির পরিপূরক বৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহ, মৌলিক বিষয়ের উপর বিশেষ কোচিং, মাধ্যমিক ড্রপ আউট কোচিং, মেধা পুরষ্কার প্রদান, আন্ত, হোষ্টেল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান, রাজ্যে ও জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষার প্রাক-প্রস্তুতির জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান, একলব্য মডেল রেসিডেনসিয়াল সুকল, আশ্রম সুকল এবং রেসিডেনসিয়াল সুকল পরিচালন, নার্সিং, ফিজিও থেরাপী, ফার্মিসি ইত্যাদি কোর্সে পাঠ্যক্রমের জন্য উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের রাজ্যে এবং বহি,রাজ্যে প্রেরণ ইত্যাদি৷ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বহুমুখী কর্মসূচী রাবার চাষ, উদ্যান চর্চা, চা চাষ, কফি চাষ ইত্যাদি৷ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারন, সুকল নির্মান, ছাত্র-ছাত্রী বাস নির্মান, উপজাতি বিশ্রামাগার নির্মান, বাজার স্টল নির্মান ইত্যাদি৷ নিউক্লিয়াস বাজেট দুঃস্থ উপজাতি রোগীদের রাজ্যস্তরে বা বহিঃরাজ্যে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা৷ কলা, সাংসৃকতি ও চিরাচরিত ঐতিহ্যসমূহের সংরক্ষন ও পুনরুজ্জীবন স্টেট একাডেমি অফ ট্রাইবেল কালচার গঠন, সংসৃকতির মূল্যায়ন, গবেষনা, ডকুমেন্টেশন, সংরক্ষন ও বিকাশ সাধন ইত্যাদি৷ বনাধিকার আইন প্রনয়নের মাধ্যমে উপজাতিদের আর্থিক বিকাশ বনাধীকার আইনের আধীনে পাট্টা প্রদান, পাট্টা প্রাপ্ত পরিবার গুলির আর্থিক তথা সাবিক বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তায় উন্নয়ন মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়িত করা৷ ত্রিপুরা তপশীলি উপজাতি সমবায় উন্নয়ন নিগম ত্রিপুরা তপশিলী উপজাতি সমবায় উন্নয়ন নিগমের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবসা, ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি, শিক্ষা ইত্যাদির জন্য ঋন প্রদান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *