BRAKING NEWS

নিখোঁজ স্বামীকে উদ্ধারের দাবিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২৩ মার্চ৷৷ নিখোঁজ স্বামীকে উদ্ধার ও সাজানো মামলার সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে কৈলাসহরের বাসিন্দা সৈয়দ আহমেদ আলীর স্ত্রী লুৎফা বেগম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন৷ বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে৷ বাবার নিখোঁজের খবরে সৈয়দ আহমেদ আলীর কন্যা অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার পথে যে কোন সময় দুঃঘটনা ঘটে যেতে পারে কন্যার এমন কথা বলেন আহমেদের শ্রী লুৎফা৷ বর্তমানে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে, কোন দিন অনাহারে৷
উল্লেখ্য কৈলাসহরের বাসিন্দা সমাজসেবী সৈয়দ আহমেদ চিকিৎসার জন্য ভেলোর গিয়েছিলেন সেখানে বাংলাদেশের এক মহিলায় সাথে তার মৌখিক পরিচয় হয়৷ ঐ মহিলা চিকিৎসার জন্য এসেছিল ১৪ অক্টোবর ২০১৫ এই ঐ মহিলা চিকিৎসার জন্য লাইনে দাঁড়ান ঐ সময় সেখানকার এক পুলিশের সাথে ঐ মহিলার বচসা হয়৷ আশপাশের কয়েকজন সহ আহমেদ আলী ঐ পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান৷ যদিও ঐ বিষয়টা ঘটনাস্থলে সমাধান হয়ে যায়৷ কিন্তু ঐ পুলিশ ক্ষোভে চক্রান্ত করে আহমেদ আলীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে পরবর্তী সময়ে৷ পরের দিন ১৫ অক্টোবর ভেলোর পুলিশ তাকে সন্দেহবশত আটক করে৷ দুই একটি সাধারন ধারা দিয়ে তাকে কোর্টে পাঠিয়েছে কোন আইনি সাহায্যে না পাওয়ায় চিকিৎসার বদলে তাকে জেল থাকতে হয়৷ পরে জামিন পেলেও কোন জামিন দায় না থাকায় তাকে আর কয়েক দিন জেলে থাকতে হয়৷ আদালত বিবেচনা করে তাকে ৪ জানুযায়ী ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তিতে খবর প্রকাশ হতেই যে থানার পুলিশ তাকে আটক করেছিল সেই পুলিশ জেলসুপারকে জানায় লক্ষ্নৌ রেলপুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৈয়দ আহমেদ আলীর নামে ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে, তাকে সেখানে পাঠাতে হবে৷ এমনটাই বলে জেল থেকে চলতি বৎসরের ১৯ জানুযায়ী ভেলোর থানা তাকে নিয়ে রওয়ানা হয় লক্ষ্নৌর উদ্দেশ্য৷ থানায় থাকাকালীন সময়ে থানাবাবু ৫০ হাজার টাকার দাবি করেন৷ নয়তো আরো বড় ফ্যাসাদে ফালানো হবে৷ কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব এটাই ছিল তার জবাব অসহায় অসুস্থ সৈয়দ আহমেদ আলীর৷ ভেলোর যাবার সময় বিহারী এক শ্রমিক খালিদ এর সাথে তার কোনও ঘনিষ্ঠতা করে৷ বিষয়টি খালিদ আহমেদ আলীর শ্রীকে ফোনে জানিয়েছিল৷ তামিলনাড়ু থেকে মধ্যপ্রদেশের ইটারসি রেলস্টেশন যাওয়া পর্যন্ত খবর রয়েছে লুৎফা বেগমের কাছে৷ এরপর থেকে আর কোন খোঁজখবর নেই৷ যাবার পথে ৫০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে৷ নয়তো ট্রেন থেকে ফেলে দেবে, এনকাউন্টার করা হবে এমন হুমকিও দিয়েছিল পুলিশ আহমেদকে এমন কথা জানান লুৎফা৷ সৈয়দ আহমেদ আলীর শ্রী লুৎফা বেগম রাষ্টপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লেখাচিটিতে ঐ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন৷ তার স্বামীকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে কি? অসুস্থ স্বামী নিখোঁজের জন্য দায়ী একমাত্র তালিমনাড়ুর পুলিশ সেটা আজ তিনি আর বলতে দ্বিধাবোধ করেন নি৷ প্রধানমন্ত্রী রাষ্টপতির কাছে আবেদন জানান যে তার স্বামী যদি জিবিতে থাকেন তার খবর পাওয়া ও অনিত অভিযোগের সুষ্ঠতদন্ত, কারণ তার স্বামী একজন সমাজসেবী তাকে ফাঁসানো ছাড়া আর কিছু নয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *