BRAKING NEWS

বাইরে এআইইউডিএফ বোরখার তলে বিজেপি, বদরুদ্দিনের বিরুদ্ধে দলের একাংশ বিধায়কের তোপ

assam mapগুয়াহাটি, ২০ মার্চ, (হি.স.) : বদরুদ্দিন আজমলকে বোরখার তলের বিজেপি বলে আখ্যা দিয়েছেন দলেরই একাংশ টিকিট-বঞ্চিত নেতা-বিধায়ক। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে বদরুদ্দিন আজমলের রাজনৈতিক অঙ্কে এআইইউডিএফ-এর ভিতরে বিদ্রোহের আগুন ধরে গেছে। আর কদিন বাদে ৪ এপ্রিল রাজ্য বিধানসভার প্রথম দফার ভোট। বিদ্রোহ আর বিক্ষোভ থামছেই না। বর্তমান পাঁচ বিধায়ককে দলের টিকিট থেকে বঞ্চিত করে তাঁদের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে নতুন নতুন প্রার্থী। হোজাই, বিলাসীপাড়া, বঙাইগাঁও, অভয়াপুরি (দক্ষিণ), লক্ষ্মীপুর, জ্বলেশ্বর, গোসাঁইগাঁও, কচুগাঁও, কোকরাঝাড়, বিজনি, গোয়ালপাড়া, শ্রীরামপুর, রপহীহাট, বরপেটা ইত্যাদি বহু জায়গায় দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, মারামারি, কুশপুত্তলিকা দাহের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইতিমধ্যে প্রায় চারটি আসনে প্রার্থী বদল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিব্রত আজমল। সর্বত্র অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন আসনে এআইইউডিএফ-এর জয়লাভের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দুর্বল প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছেন বদরুদ্দিন আজমল। এ-ধরনের ভূমিকায় তিনি যে বিজেপি-র এজেন্ট তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন বলেও অনেক টিকিট-বঞ্চিত বিধায়ক বা প্রার্থিত্বপ্রত্যাশি অভিযোগ তুলেছেন। টিকিট-বঞ্চিত জলেশ্বরের এআইইউডিএফ বিধায়ক মইনুদ্দিন আহমেদের বিস্ফোরণ, রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে এজেন্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন দলপতি বদরুদ্দিন। তাঁর অভিযোগ, জনৈক বিজেপি নেতার সঙ্গে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করে এআইইউডিএফ-এর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এমন কেন্দ্রে দুর্বল প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছেন আজমল। অসমের সংখ্যলঘুরা তাঁর চরিত্র বোঝে গেছেন বলেও মনে করেন মইনুদ্দিন। উল্লেখ্য, জলেশ্বরে বর্তমান বিধায়ক মইনুদ্দিনকে বঞ্চিত করে একজন অখ্যাত ব্যক্তি আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকে টিকিট দিয়েছে এআইইউডিএফ। দলের বর্তমান সিনিয়র বিধায়ক মনোয়ার হোসেনও বদরুদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরেছেন। তাঁর গোয়ালপাড়া (পূর্ব) কেন্দ্রে তাঁকে বঞ্চিত করে জনৈক সাহিদ মজুমদারকে প্রার্থী করেছে দল। মনোয়ারও বদরুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে বলেছেন, দলের তৃণমূল কর্মীদের অশেষ পরিশ্রম-কষ্ট-ত্যাগে এআইইউডিএফ-এর এখন শক্ত অবস্থান, এই তৃণমূল কর্মীদের কল্যাণেই রাজনীতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আজমল। বিশেষ একটি দলের হয়ে ভোট-ময়দানে নেমে রাজ্য থেকে সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন করতে চাইছেন বদরুদ্দিন আজমল, অভিযোগ মনোয়ারের। তাঁর আরও বক্তব্য, তাঁর কেন্দ্রে সাহিদ মজুমদারকে টিকিট দেওয়ার পেছনে বিজেপি-র সঙ্গে গোপন সমঝোতা রয়েছে। তিনি বলেন, বাইরে এআইইউডিএফ এআইইউডিএফ বলে ঘুরে বেড়ালেও বোরখার তলে তিনি আপাদমস্তক বিজেপি। গত পাঁচবছর আগে এই আজমলের যে চরিত্র ছিল, আজ তা সম্পূর্ণ বিপরীত। সেবার ভোটে লড়তে তাঁকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন বদরুদ্দিন। আর এবার এই বদরুদ্দন আজমল প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। আসলে তিনি বিজেপি-র সঙ্গে মেচ ফিক্সিং করেছেন। ধুবড়ির এআইইউডিএফ বিধায়ক জাহানুদ্দিনও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, কোটি কোটি টাকা নিয়ে এবার দলের টিকিট দিয়েছেন আজমল। এভাবেই তাঁর কেন্দ্রে এবার ছাগলিয়া গেটের কুখ্যাত সিন্ডিকেট মাফিয়া নজরুল হককে টিকিট দিয়েছেন বদরুদ্দিন। মুখ খুলেছেন বিলাসীপাড়া (পূর্ব)-র বিধায়ক গুলআখতারা বেগমও ।-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *