নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ১৮ মার্চ৷৷ আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেল ৪৫ টি দোকান৷ দমকলের ৫টি ইঞ্জিন এবং বিএসএফের একটি ইঞ্জিন মিলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি৷ এই ভয়াবহ অগ্ণিকান্ডটি ঘটেছে উদয়পুর মহকুমার মহারাণী বাজারে৷ গতকাল রাত্রি ১টার সময় এই ভয়াবহ অগ্ণিকান্ডটি ঘটে৷ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মানুষের ধারণা বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকেই এই অগ্ণিকান্ডের সূত্রপাত৷ উদয়পুর মহকুমা অমরপুর সড়কের মাঝামাঝি এলাকায় রয়েছে মহারাণী হাসপাতাল চৌমুহনী বাজারটি৷ এই বাজারটি অতন্ত জাকজমকপূর্ণ বাজার৷ পাহাড়ি বাঙালি উভয় অংশের প্রচুর মানুষ এই বাজারে প্রতিদিন মিলিত হন৷ শত শত বছরের মধ্যে এই নিয়ে দুইবার একই সময় অর্থাৎ চৈত্র মাসে আগুন লাগে৷ গত ২০০৯ সালে বাজারের উত্তর অংশ পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছিল৷ গতকাল দক্ষিণ অংশ পুড়ে ছাঁই হয়৷ রাত একটার সময় যখন আগুন লাগে তখন প্রতিদিনের মতো যারা নাইট ডিউটি করছিল বাজারে সে ব্যবসায়ীরা প্রথমে টের পায় আগুন লাগার বিষয়টি৷ প্রথমে একটি বইয়ের দোকানে আগুনের শিখা দেখতে পায়৷ আগুন দেখে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং খবর দেওয়া হয় উদয়পুর অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরের কর্মদের৷ খবর দেওয়া হয় অমরপুর ও কাকরাছড়ার অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরকে৷ খবর পেয়ে ছুটে আসেন দশম ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ জওয়ানরা আসেন তাদের জলের গাড়ি নিয়ে৷ ৫টি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্ত্বে আনতে তিনঘন্টা সময় লাগে৷ খবর পেয়ে রাত্রিবেলা ছুটে যান উদয়পুর মহকুমা শাসক শুভাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়৷
2016-03-19

