উড়াল পুল ঃ বিপদ এড়াতে শহরে যান চলাচলে নতুন রুট

Golden Tripura Wideনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ মার্চ৷৷ উড়ালপুল নির্মাণ কাজের ফলে নাগেরজলায় যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে তিনটি বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সেক্ষেত্রে বড় গাড়ি থেকে শুরু করে ছোট গাড়ি সমস্ত কিছু নাগেরজলা রুটের বদলে ঐ বিকল্প রাস্তা ধরে চলাচল করবে৷ শুক্রবার পূর্ত দপ্তরের মুখ্যবাস্তুকার সোমেশ চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, যোগেন্দ্রনগর বিদ্যাসাগর সেতু থেকে বাইপাস পর্যন্ত, সেন্ট্রাল রোড এক্সটেনশান থেকে চন্দ্রমোহন সেতু হয়ে বাইপাস পর্যন্ত এবং বড়দোয়ালি থেকে দশরথ দেব স্টেডিয়াম হয়ে বাইপাস পর্যন্ত তিনটি বিকল্প রাস্তা চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ রাস্তাগুলি দিয়ে বড়, মাঝারি এবং ছোট গাড়িগুলি নাগেরজলায় উড়ালপুলের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত যাতায়াত করবে৷ মূলতঃ আগরতলা-সাব্রুম সড়কে যেসব যানবাহন যাতায়াত করবে সেগুলির গতিপথ ঘুরিয়ে উড়াল পুল নির্মাণস্থল যানজট মুক্ত রাখার উদ্দেশ্যেই এই নতুন রুট চিহ্ণিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
এদিন তিনি জানান, সমস্ত বড় গাড়ি যোগেন্দ্রনগর দিয়ে, মাঝারি গাড়িগুলি সেন্ট্রাল রোড এক্সটেনশান দিয়ে এবং ছোট গাড়িগুলি বড়দোয়ালী দিয়ে যাতায়াত করবে৷ তবে, আপাতকালীন কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলি প্রয়োজনে নাগেরজলা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে৷ এই বিকল্প রাস্তাগুলিতে মাধ্যমিক এবং উচচমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে দেখা হবে৷ সেক্ষেত্রে ট্রাফিক দপ্তর যাবতীয় সমস্ত কিছু দেখাশুনা করবে৷ মূলত, নাগেরজলায় যানজট এড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচেছ৷ তার মতে, উড়ালপুলের কাজ সুুষ্ঠভাবে করতে গেলে নাগেরজলা স্ট্যান্ডে কোন বাস দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না৷ সেক্ষেত্রে নাগেরজলা বাসস্ট্যান্ডটি সাময়িক অন্যত্র সরানো হবে কিনা সে বিষয়ে তিনি স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি৷ তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপর৷ উড়ালপুলের কাজে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে এবং যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই বিকল্প রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ায় হচ্ছে৷ এদিন তিনি জানান, যোগেন্দ্রনগর থেকে বাইপাস রাস্তাটি প্রশস্ত ৪৫ মিটার এবং সেন্ট্রাল রোড এক্সটেনশন থেকে বাইপাস রাস্তাটির প্রশস্ত ৩৭৫ মিটার৷ ফলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যান চালচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা হবে৷
এদিন তিনি জানান, উড়ালপুলের কাজ দ্রুতগতিতেই চলছে৷ মাসিক কাজের হিসেবে এখনো পর্যন্ত উড়ালপুল নির্মাণ কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে৷ তাতে আগামী ২০১৭ সালের ডিসেম্বর নাগাদ উড়ালপুলের কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ এদিন তিনি জানান, আগামী মে-জুনের মধ্যে উড়ালপুলের সমস্ত পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে৷ এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, নাগেরজলা থেকে গভঃ প্রেস এলাকা পর্যন্ত মোট ৯৪ টি পাইলিং হবে৷ তাতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে৷ তিনি আরো জানান, উড়ালপুলে মোট ৬৮টি বড় পিলার রয়েছে৷ এছাড়া ৩৪৬টি ছোট পিলার রয়েছে৷ এই উড়ালপুলের নির্মাণে ২৫০ কোটি টাকা খরচ হবে৷ অবশ্য তাতে আস্তাবল সংলগ্ণ নতুন যে ব্রিজটি নির্মাণ হচ্ছে তার ব্যয়ও ধরা রয়েছে৷ আস্তাবল ব্রিজের নির্মাণ কাজের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে৷ এরপরই ব্রিজটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে৷