BRAKING NEWS

ভোটপ্র্রক্রিয়া অবাধ করতে অসমের নিয়োগ হচ্ছে ৭৬ জন সাধারণ ও ৩,১৯৭ জন মাইক্রো অবজারভার

Election Stampগুয়াহাটি, ৮ মার্চ (হি.স.) : রাজ্যের চতুর্দশ বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ ও স্বচ্ছ করার স্বার্থে নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে পালন করতে কঠোর হয়ে উঠছে কমিশন| কোনও দল বা প্রার্থী যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পার পেয়ে না-যান, সে দিকে তীক্ষ্‌ণ দৃষ্টি রাখবে প্রশাসন| অসম সচিবালয়ের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য এবার ৭৬ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে| প্রয়োজন ও পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ রেখে এই সংখ্যা আরও বাড়ানোও হতে পারে| মূলত গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে-ব্যাপারে নজর রাখবেন সাধারণ পর্যবেক্ষকরা| কোথাও কোনও গরমিল দেখলে যে কোনও কেউ তাঁরা সাধারণ ভোটারই হোন বা অন্য, তাঁরা তাক্ষণিকভাবে সে-ব্যাপারে ওই পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে করতে পারবেন| খুব শীঘ্রই তাঁদের ফোন নম্বর সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি| সূত্রটি জানান, সাধারণ পর্যায়ের ওই পর্যবেক্ষকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ ইত্যাদি মীমাংসার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেবেন| জানা গেছে, ভোটের সময় নির্বাচনী খরচের দিক দেখভাল করতেও এবার পৃথকভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবে| এঁদের সংখ্যা হবে ৪৬| সূত্রের খবর, এবার একেকজন প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ ধরা হয়েছে ২৮ লক্ষ টাকা| তবে, তাঁরা একসঙ্গে ৫০ হাজারের বেশি টাকা একত্রে সঙ্গে রাখার ক্ষেত্রেও বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে| কেবল তা-ই নয়, দান, অনুদান বা চাঁদার মাধ্যমে সংগৃহীত সর্বাধিক টাকার পরিমাণ হতে হবে নগদ ২০ হাজার| এই নিয়ম যাতে কোনওভাবেই লঙ্ঘিত না-হয় সে দিকেও কড়া নজর থাকবে ব্যয় পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষকদের| তাছাড়া, ভোটের দিন জটিল ও স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার ওপর তীক্ষ্‌ণ নজর রাখতে মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ করবে নির্বাচন কমিশন| কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের শীর্ষ অফিসারদের নিয়ে গঠিত এই মাইক্রো অবজারভারের সংখ্যা ৩,১৯৭ জন হবে বলে জানা গেছে| এছাড়া ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনার আগে-পড়ে কোনও অবস্থাতেই যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না-হয় সে দিকেও কড়া অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন| সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যায় অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী অসমে নিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি| কেবল তা-ই নয়, একশো শতাংশ নাগরিক যাতে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে-ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন| এরই পরিপ্রক্ষিতে এক নির্দিষ্ট সংহত মোবাইল অ্যাপ্লিক্যাশনের ব্যবস্থা থাকবে| এর মাধ্যমে নিজের নিজের ভোটকেন্দ্রের ঠিকানা, সেখানে নিয়োজিত ভোটকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্টরা তাঁদের ভাটার তালিকা পাবেন| সেজন্য ভোটপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিক্যাশন এবং এসএমএস-এর ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি| এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটাররা গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার খবর যেমন নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ভোটের দিন, মনোনয়ন দাখিলের দিন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা, ভোটের ফলাফল ইত্যাদির তথ্য পাবেন|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *