BRAKING NEWS

গুচ্ছ গ্রামে বিদ্যুৎ ছিন্ন, বিঘ্নিত হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের পঠন পাঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৬ মার্চ৷৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের আঠারোমুড়া পাহাড়ের আর একটি গোচ্ছ গ্রাম হল ছত্রিশ মাইল৷ ২০০১ সালে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরকারী প্রতিশ্রুতি ক্রমে অনেক পরিবার নিজেদের সরকারী সমস্ত সুযোগ সুবিধা হাতের নাগালে পাওয়ার জন্য বসবাস করতে শুরু করে৷ পূর্বের নাম n957সত্রাইফাং পাড়া থেকে নাম বদলে গড়ে উঠে ৩৬ মাইল এলাকার বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা সত্বেও দিনের বেলাতেই ঘনিয়ে আসে অন্ধকার, দপ্তর এর চরম গাফিলতির অভিযোগ এলাকাবাসীর৷
আঠারোমুড়া এলাকার ৬টি গুচ্ছ গ্রামের একটি গুচ্ছ গ্রাম হল ৩৬ মাইল, ২০০১ সাল থেকে গুচ্ছ গ্রামটিতে বসবাসকারী গিরিবাসীরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কিছু কিছু সুযোগ পেতেও লাগলো৷ গুচ্ছ গ্রামে পৌঁছে গেল বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল সহ রাস্তাঘাট৷ তবে বর্তমানে ৮ মাস ধরে মুঙ্গিয়াকামী বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়ার ফলে অন্ধকারে ডুবে আছে এই গুচ্ছ গ্রামটি৷ বিদ্যুতের অভাবে না পাচ্ছে পানীয় জল না হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠন৷ একমাত্র কুপি বাতিই ভরসা ঐ এলাকারটির মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী ছাত্রীর জানালেন গুচ্ছ গ্রামের এক প্রবীন৷
অপরদিকে ঐ গুচ্ছ গ্রামে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশের খবরে টনকে নড়ে দপ্তরের এলাকায় ছুটে আসেন দপ্তরের সিনিয়র মেনাজার গোপাল দেববর্মা৷ ঘটনার খুজ খবর নেন৷ আমাদের প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাত কারে তিনি জানান, এলাকায় ২৬ টি স্থায়ী সংযোগ রয়েছে এর মধ্যে চার জন আংশিক ভাবে বিল প্রণয়ন করে বাকী ১২ জন একেবারেই করেন না, প্রায় ৬০ হাজার টাকা এলাকায় বকেয়া পরে আছে৷ উর্ধতন কতৃপক্ষ থেকে উনার ওপর চাপ আসে৷ এলাকায় গিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করেন তিনি এবং জল আসেনা, চেয়ারম্যান বকেয়া টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করার কথা দিলেই বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় দেওয়া হবে৷ এমন দেখার বিষয় গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের সব সুযোগ সুবিধা কি আদো তারা ভোগ করতে পারছে৷ সঠিক বিদ্যুতায়নে দপ্তর কি উদ্যোগ নেয়, না এরকম আরো কয়েক মাস বিদ্যুৎহীন অন্ধকারময় জীবন যাবন করতে হয় এই গুচ্ছ গ্রামটিকে৷আজ থেকে চার বছর আগে এই গুচ্ছ গ্রামে বন দপ্তরের জাইকা প্রকল্প থেকে লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি পানিয় জলের ট্যাংক করে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে পানিয় জলের উৎসটি ও বন্ধ হয়ে আছে ৮ মাসধরে৷ বর্তমানে ১১০ পরিবারের এই গুচ্ছ গ্রামটি বিদ্যুতের অভাবে দিনেই অন্ধকারময় হয়ে আছে৷
তিনি আরো বলেন গুচ্ছ গ্রামে সবগুলি স্থানী সংযোগ আছে এর মধ্যে আমরা কয়েকটি পরিবার বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করে যাই৷ আর অন্যারা যারা করে না তাদের জন্যই আমাদেরকে খেসারত দিতে হয় কেন?অপরদিকে এলাকার এক ছাত্রছাত্রী জানায় দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের পড়াশুনা করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে৷ একমাত্র কুপি বাতিই সার সোলার লাইট ও সবাই কে দেওয়া হয়নি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *