দিল্লী ও ঢাকায় বসে দুই প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের সাথে ইন্টারনেট গেইটওয়ের উদ্বোধন ২৩শে

indo bangla internetনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ মার্চ৷৷ বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে আগরতলা পর্য্যন্ত ইন্টারনেট গেইটওয়ে এর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ২৩ মার্চ৷ সূত্রের খবর, দুই রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন৷ একই দিনে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে৷ এই বিদ্যুৎ সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও একইভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ রাষ্ট্রের জাতীয় রাজধানী থেকে করবেন৷ মূলতঃ দুই রাষ্ট্রের মৈত্রির আদান প্রদান হিসেবেই একই দিনে ইন্টারনেট গেইটওয়ে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল৷ তাঁদের মতে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানী এবং বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ প্রদান দুই রাষ্ট্রের মৈত্রির সম্পর্ককেই আরো সুদৃঢ় করবে৷
ইন্টারনেট গেইটওয়ের উদ্বোধন প্রসঙ্গে বিএসএনএল ত্রিপুরা এসএসএ’র জেনারেল ম্যানেজার জে রবিচন্দ্র জানিয়েছেন, মার্চের শেষ সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের চূড়ান্ত পরিকল্পনা রয়েছে৷ পিএমও সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যসূচীতে মার্চের শেষ সপ্তাহেই ইন্টারনেট গেইটওয়ে এবং বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের বিষয়টি রয়েছে৷
উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী রবিশংকর আগরতলায় গত ১১ জুলাই ইন্টারনেট গেইটওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণের ফলক উন্মোচন করেছিলেন৷ গত ডিসেম্বরেই এর উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল৷ সেই মোতাবেক এপার ওপার উভয় অংশের ফাইবার অপটিক লাইন বসানোর কাজও সময়মতো সম্পন্ন হয়েছে৷ এরপর থেকে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ইন্টারনেট গেইটওয়ে৷ দেশের মধ্যে মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ের পর আগরতলাতেই হচ্ছে হাই স্পীড ব্যান্ডউইথের ইন্টারনেট গেইটওয়ে৷ বাংলাদেশের মাধ্যমে কক্সবাজার হয়ে ত্রিপুরার সাথে নেটওয়ার্ক সংযুক্তিকরণ বিশ্বের দরবারে শুধু এই রাজ্যই নয়, সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলকে উন্মুক্ত করে দিতে সহায়ক হবে৷ এই প্রসঙ্গে বিএসএনএলের ত্রিপুরা শাখার জেনারেল ম্যানেজার বলেন, আগামী দিনে ইন্টারনেট পরিষেবায় ত্রিপুরা উত্তর পূর্বাঞ্চল সহ পূর্বোত্তর ভারতের ঘাঁটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে৷ তাতে শুধু এরাজ্য নয়, সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং পূর্ব ভারত উপকৃত হবে৷ সূত্রের খবর, ইন্টারনেট গেইটওয়েকে পঁুজী ধরে ইতিমধ্যে শিলংয়ে বিভিন্ন কল সেন্টার এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলি গ্রাহক সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে৷ রাজ্যে অবশ্য এই ধরনের কোন উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি৷ প্রশাসনিক এক আমলার মতে, মানসিকতার পরিবর্তন না হওয়া পর্য্যন্ত বৃহত্তর ভারতের সাথে পা মিলিয়ে চলা সম্ভব হয়ে উঠবে না এরাজ্যের৷ তবে, এই ঐতিহাসিক মুহুর্তের অপেক্ষায় গোটা রাজ্যবাসী৷