রাজ্যে বর্তমানে অর্গানিক চাষের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ মার্চ:
কৃষি আমাদের দেশের অগ্রগতির মূল ভিত্তি। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য বিশুদ্ধ খাবার প্রয়োজন। অর্গানিক চাষের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসল থেকে বিশুদ্ধ খাবার পাওয়া যায়। আজ সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত চড়িলাম ব্লকের আমতলি ভিলেজের পুস্করবাড়িতে আনারস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। তিনি বলেন, খাদ্যের গুণমানের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রধানমন্ত্রী সমগ্র দেশেই অর্গানিক চাষ করার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। রাজ্যের বর্তমান সরকারও অর্গানিক চাষের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় আনারস থেকে শুরু করে অনেক ফসলই অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে। কৃষি রাজ্য সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। রাজ্যের প্রতিটি ব্লকেই একটি করে এফ.পি.ও. খোলা হয়েছে। রাজ্যে এই প্রথম এফ.পি.ও-র মাধ্যমে আনারস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র খোলা হলো। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা হলেন অন্নদাতা। আমাদের প্রত্যেকের উচিত কৃষকদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। তিনি বলেন, কোনও অবস্থাতেই জমি পরিতাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা চলবে না। সংশ্লিষ্ট জমিতে যে ফসল ভালো হবে তাই চাষ করা উচিত।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত বলেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যের বর্তমান সরকার অবিরাম কাজ করে চলেছে। কৃষকগণ এই উদ্যোগের সুফলও ভোগ করছেন। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, অধিকর্তা ফণীভূষণ জমাতিয়া, যুগ্ম অধিকর্তা রাজীব দেববর্মা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চড়িলাম বি.এ.সি.-র চেয়ারম্যান জাকুলু দেববর্মা। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সহসভাধিপতি পিন্টু আইচ, সদস্য গৌরাঙ্গ ভৌমিক, চড়িলাম পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান খেলা ভৌমিক, সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক উপেন্দ্র জমাতিয়া, বিশিষ্ট সমাজসেবী বিপ্লব চক্রবর্তী, সমাজসেবী তাপস দাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী অর্গানিক চাষের উপর একটি ক্যাটালগ প্রকাশ করেন। তিনি ৩ জনকে সিড লাইসেন্স এবং ৪ জনকে ফসলের বীজ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, মিশন অর্গানিক ভ্যালু চেইন ডেভেলপমেন্ট ফর নর্থ ইস্টার্ন রিজিওন প্রকল্পের আওতায় এই আনারস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রটি গড়ে তুলতে ব্যয় হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা। এছাড়া স্টোর রুম নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ১১ লক্ষ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *