এখনও হদিশ মেলেনি অপহৃত ব্যাঙ্ক কর্মীদের, দিশেহারা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ নভেম্বর৷৷  ৯৬ ঘন্টা কেটে গেছে৷ এখনও খোঁজ মেলেনি চার গ্রামীণ কর্মীর৷ শুক্রবার ব্যাঙ্কের কাজ শেষ করে গোমতী জেলার তৈদু থেকে তেলিয়ামুড়া হয়ে আগরতলা নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন ওই চার ব্যাঙ্ক কর্মী৷ তৈদু-তেলিয়ামুড়া সড়কের জঙ্গল এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তৈদু গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তন্ময় ভট্টাচার্য, ডেপুটি ম্যানেজার রক্তিম ভৌমিক, ক্যাশিয়ার সুজিত দেব এবং গ্রুপ ডি কর্মী সুব্রত দেববর্মা৷ নিখোঁজ হওয়ার আটচল্লিশ ঘন্টার পর ধলাই জেলার আমবাসা পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকের কোয়াটারের মাঝামাঝি স্থান থেকে উদ্ধার হয় ম্যানেজার তন্ময় ভট্টাচার্যের টিআর ০১ এইউ ০২৩০ নম্বরের মারুতি সেলেরিউ গাড়িটি৷ গাড়ি উদ্ধার হওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে তেলিয়ামুড়া থানার মহারানিপুর জাতীয় সড়কের পাশে উদ্ধার হয় গ্রুপ ডি কর্মী সুব্রত র ব্যবহৃত টিআর ০১ এম ৮১৮৯ নম্বরের সুপার স্পেন্ডার বাইকটিচ৷ প্রশ্ণ উঠেছে, অপহৃতদের ব্যবহৃত বাইক ও গাড়ি প্রত্যক্ষদর্শীদের দ্বারা পুলিশ উদ্ধার করতে পারলেও অপহৃদের এখনও কোন হদিশ নেই কেন৷ তবে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, চার ব্যাঙ্ক কর্মীকে অপহরণের ছক মাস তিনেক ধরে চলছিল৷ কিন্তু সময়মতো কিছু করে উঠতে পারেনি৷ পুলিশ আরও জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে পুলিশি তল্লাশির অভিমুখ পরিবর্তন করতেই অপহরণকারীরা এই কাজ করেছে৷ কারণ চারজনকে অপহরণ করতে হলে তাদের দিগুণ লোক প্রয়োজন৷ একটি গাড়িতে এত সংখ্যক লোক বসা সম্ভব নয়৷ চারজনকে যদি একই গাড়িতে তোলা হয় তা হলে আর মাত্র দুজনের জায়গা হবে৷ তাও খুব কষ্টে৷ তা হলে দুই অপহরণকারী কখনই চারজনকে অপহরণ করতে পারবে না৷ অপহরণকারীরা চার ব্যাঙ্ক কর্মীকে অপহরণ করে গাড়ি ও বাইক থেকে নামিয়ে জঙ্গলের পথেই  নিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এদিকে জয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব ত্রিপুরা গ্রামীণ  ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস্ এক বিবৃতিতে শুক্রবার গ্রামীণ ব্যাঙ্কের তৈদু শাখার ম্যানেজার সহ চারজনকে অপহরণের ঘটনা জনগণের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছে৷ অপহরণের সঙ্গে যুক্তদের এই ভুল পথ পরিত্যাগ করার আবেদন জানিয়েছে ফোরাম৷ অন্যদিকে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের উদ্যোগে এদিন ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল পুলিশ সদর দফতরে গিয়ে পুলিশ মহানির্দেশকের সঙ্গে দেখা করে৷ পুলিশ মহানির্দেশক অপহৃতদের খোঁজে তৎপরতা চলছে বলে জানান৷