নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ মার্চ৷৷ বিধায়ক পরিমল সাহা হত্যা মামলায় পরপর তিনদিন প্রয়াতের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুক্রবার শেষ হয়েছে৷ আগামী ২১ মার্চ থেকে শুরু হবে বিবাদি পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ৷
প্রাক্তন বিধায়ক পরিমল সাহা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২১ মার্চ৷ পরপর তিনদিন বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুক্রবার শেষ হয়েছে৷ প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন সহ মোট ৪৬ জন এখনো পর্যন্ত এই মামলার সাক্ষী দিয়েছেন৷ ১৯৮৩ সালের ৭ এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল৷ হত্যাকান্ডের ২১ দিনের মাথায় ২৮ শে এপ্রিল মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বিশালগড় থানার তৎকালীন সাব ইন্সপেক্টর রামনারায়ণ চক্রবর্তী আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন৷ অবশ্য তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ইতিমধ্যেই প্রয়াত হয়েছেন৷ বাদী পক্ষের আইনজীবী সম্রাটকর ভৌমিক জানান, ঘটনার দিন পরিমল সাহার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী রঞ্জিৎ দাস গ্রহণযোগ্য কোন কারণ না দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন৷ আইনজীবী বলেন, ব্যক্তিগত দেহরক্ষী জানতেন এই ঘটনা ঘটতে চলেছে৷ সে কারণেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন৷ বিষয়টি বাদীপক্ষ থেকে আদালতে তুলে ধরা হয়েছে৷ আইনজীবী আরো বলেন, ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসেই বিধায়ক পরিমল সাহা জীবন সংশয়ের বিষয়ে বিশালগড় থানাকে লিখিতভাবে জানিয়ে ছিলেন৷ কারা কারা জীবন সংশয়ের কারণ হতে পারে তাও সবিস্তারে জানিয়েছিলেন৷ আইনজীবী জানান, মামলাটি আগামী ২১ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য উঠবে৷ সেদিন থেকে বিবাদিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে৷ দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে বিধায়ক হত্যা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ত্রিপুরা হাইকোর্টও বিস্ময় প্রকাশ করে৷ এমনকি এবিষয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা গৃহীত হয়৷ হাইকোর্টের মাননীয় মুখ্য বিচারপতি দীপক কুমার গুপ্তা ৩১ মার্চের মধ্যে মামলাটির নিষ্পত্তি করতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে নির্দেশ দেন৷ হাইকোর্টের নির্দেশেই অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত দত্তের এজলাসে মামলাটির শুনানি চলছে৷
2016-03-12

