নয়াদিল্লি, ২২ ডিসেম্বর (হি. স.) : পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর কট্টর সমালোচক বালোচ নেত্রী করিমা বালোচের (৩৫) রহস্যজঙ্ক মৃত্যু । ২০১৫ সাল থেকে কানাডায় শরণার্থী হিসেবে পালিয়ে আসেন করিমা । মঙ্গলবার ‘দ্য বালোচিস্তান পোস্ট’ সংবাদপত্রে তাঁর আচমকা নিরুদ্দেশ হওয়া ও খুনের খবর প্রকাশ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গত মার্চ মাসে আর এক বালোচ আন্দোলনকর্মী সাংবাদিক সাজিদ হুসেন সুইডেন থেকে নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছে সংবাদপত্রটি। পরে নদী থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সাজিদের বন্ধু ও আত্মীয়দের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি রাখী উপহার দিয়েছিলেন।
গত ২০ ডিসেম্বর শেষবার করিমাকে জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকেই তাঁর হদিশ মেলেনি। বালোচিস্তানে তাঁর খোঁজে পাক সেনা ও আইএসআই তল্লাশিতে নামলে ২০১৫ সালে কানাডায় শরণার্থী হিসেবে পালিয়ে আসেন করিমা। তার আগে বালোচিস্তানের টাম্প শহরে পাকিস্তানি সামরিক হানা থেকে অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন। কানাডায় এসে তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর ‘রাইটস ফর রাইটস’ প্রচারে যোগ দিয়ে বালোচিস্তানে রাজনৈতিক অপহরণ ও গুম করার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ শুরু করেন। বিবিসি-র বিচারে তিনি বিশ্বের ১০০ জন ‘সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী’ মহিলার তালিকায় স্থান পান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাখী বন্ধন উপলক্ষে টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিয়ো বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন করিমা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বালোচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের খবর বিশ্বের নানান দেশে ছড়িয়ে দিতে তিনি মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন।