নতুন শিক্ষানীতি জ্ঞানের মহাশক্তিতে ভারতকে পরিণত করবে : উপরাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ নভেম্বর৷৷ নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্যই হচ্ছে ভারতকে জ্ঞানের ক্ষেত্রে শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করা বলে জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে আগরতলা এনআইটি ত্রয়োদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা পদ্ধতির দ্বারা অনুপ্রাণিত হচ্ছে নতুন শিক্ষানীতি৷


তিনি বলেন, যেখানে পড়ুয়াদের ব্যক্তিত্বের সমগ্র আর সম্পূর্ণ বিকাশকে কেন্দ্রে রাখা হয়৷ ভারত বিশ্বগুরু ছিল৷ নালন্দা ও তক্ষশীলায় জ্ঞান প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষায় সেই সময় গোটা বিশ্ব থেকে পড়ুয়ারা ভারতে আসত৷ ভারত পুনরায় বিশ্বগুরু হবে৷ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের আকাঙ্ক্ষা নতুন শিক্ষানীতি যে বৃদ্ধি করবে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি৷ তিনি জানিয়েছেন পড়ুয়াদের বড় লক্ষ্য করে তা পূরণ করতে হবে৷ আইআইটি, এনআইটি এবং অন্যান্য উচ্চ শিক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলি উচিত নিজের পঠন-পাঠনে আমূল পরিবর্তন আনা৷ একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা অনুযায়ী পড়ুয়াদের গড়ে তুলতে হবে৷

এন আই টি আগরতলার ত্রয়োদশ ভার্চুয়াল ই-সমাবর্তন আজ অনুষ্ঠিত হয়৷ উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু ই-সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন৷ অধ্যাপক গৌতম ভেমুরী সম্মানীয় অতিথি হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন৷ জয়েণ্ড্রে ক্যাপিটেল সার্ভিস ও মুথা ইণ্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান অনিল মুথা সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন৷ এন আই টি আগরতলার বোর্ড অফ গভর্ণরস এর চেয়ারম্যান সুুভাষ চন্দ্র সাটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন৷ প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা অধ্যাপক হরিশ কুমার শর্মা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্র প্রদান করেন৷


সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২৪জন পি এইচ ডি, ১৮১জন এম টেক, ১৪জন এম বি এ, ২৪জন এম এস সি, ২০জন এম সি এ, ২৫জন বি এস এম এস, ৬জন বি টি এম টি, ৫৩৪জন বি টেক, ২০জন বি এস এবং ৯জন বি টি ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্র প্রদান করা হয়৷ এন আই টি আগরতলার ত্রয়োদশ ভার্চুয়াল ই-সমাবর্তনে সর্বমোট ৮৫৭জন ছাত্রছাত্রীকে ডিগ্রী (শংসাপত্র) প্রদান করা হয়৷
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২৫জন ছাত্রছাত্রীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়৷ এদের মধ্যে স্নাতকস্তরে বিভিন্ন শাখায় প্রথম স্থানাধিকারী ৭ জনকে, ডুয়েল ডিগ্রীস্তরে (বি এস এম এস এবং বি টি এম টি) বিভিন্ন শাখায় প্রথম স্থানাধিকারী ৩জনকে এবং স্নাতকোত্তরস্তরে বিভিন্ন শাখায় প্রথম স্থানাধিকারী ১১ জনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়৷ স্নাতকস্তর, ডুয়েল ডিগ্রীস্তর এবং স্নাতকোত্তরস্তর হতে সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানের প্রথম স্থানাধিকারী ৪ জনকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়৷

সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানের প্রথম স্থানাধিকারী ৪ জনের মধ্যে ২ জন যুগ্মভাবে স্নাতকস্তর থেকে, ১ জন ডুয়েল ডিগ্রীস্তর (বি এস এম এস) থেকে এবং ১ জন স্নাতকোত্তরস্তর থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *