রেপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটে ত্রুটি আইসিএমআর’র নির্দেশে পরীক্ষা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ এপ্রিল৷৷ রাজ্যে কাল থেকে রেপিড অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হবে না৷ কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে সমস্ত জেলায় আপাতত ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সারা দেশেই আগামী দুইদিন ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷ এদিকে, করোনা মোকাবিলায় পশ্চিম জেলায় ১৪ এপ্রিল থেকে ৫৪১ জনের লালারস সংগৃহিত হয়েছে৷ তাদের অধিকাংশের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷


মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) আগামী দু’দিন ওই টেস্ট বন্ধ রাখতে বলেছে৷ রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিনটি রাজ্য রেপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল৷ রাজ্যগুলির দাবি ছিল, ওই টেস্ট কিটগুলির রোগনির্ণয়ের ক্ষমতা অত্যন্ত কম৷ শতাংশের হিসাবে তা মাত্র ৫.৪৷ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে যাবপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আগামী দু’দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর৷ কিটগুলি নিয়ে তদন্তও করবে ওই সংস্থা৷


রাজ্যে আগামীকাল থেকে ৮টি জেলায় ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল৷ ত্রিপুরায় ৩,৮৪০টি কিট এসেছে৷ সে-মোতাবেক সমস্ত জেলায় ওই কিট বিলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেট সার্ভেইলেন্স অফিসার ডা. দ্বীপ দেববর্মা৷ তিনি বলেন, কিটগুলি দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ রাখার বিষয়ে আইসিএমআর থেকে লিখিত কোনও নির্দেশ আসেনি৷ কিন্তু, দিল্লি থেকে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে আপাতত আগামীকাল ত্রিপুরায় ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সমস্ত জেলায় ইতিমধ্যেই সেই খবর পাঠানো হয়েছে৷ ফলে, আগামীকাল ত্রিপুরায় ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না৷


এদিকে, করোনা মোকাবিলায় পশ্চিম জেলায় বিভিন্ন জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে৷ সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বরের লক্ষণ রয়েছে, এমন কয়েকজনেরও লালারস সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য দফতর৷ এ-বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ২০ জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে৷ পশ্চিম জেলায় সর্বমোট ৫৪১ জনের লালারস সংগ্রহ হয়েছে৷


করোনা মোকাবিলায় ত্রিপুরা সরকার পর্যায়ক্রমে নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তাতে স্থির হয়েছে, কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এমন ৭৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হবে৷ শুধু তা-ই নয়, সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বরের লক্ষণ দেখা দিয়েছে যাদের তাদেরকেও বাছাই করে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা করা হবে৷ সে-মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছেঊ গত ১৪ এপ্রিল থেকে ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছে৷
আজ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকটি বলেন, কমিউনিটি স্তর পর্যন্ত পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে৷ কারণ, করোনা মোকাবিলায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ত্রিপুরা সরকার৷ তাঁর কথায়, পর্যায়ক্রমে নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব৷ সে-ক্ষেত্রে পুর নিগমের তরফে আজ নমুনা সংগ্রহের কাজ সমাপ্ত হয়েছে৷


তিনি বলেন, পশ্চিম জেলায় বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন যাঁরা তাঁদের সাথে অন্যদেরও লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে৷ অনেকের রিপোর্ট এসে পড়েছেঊ আজ ২০ জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে৷ সম্ভবত রাতের মধ্যে কিংবা আগামীকাল রিপোর্ট চলে আসবে৷ সাথে তিনি জানান, শীঘ্রই রেপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *