নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ এপ্রিল৷৷ চিকিৎসা করতে গিয়ে চেন্নাইতে লকডাউনে আটকা পড়েছেন ত্রিপুরার বহু নাগরিক৷ তাদের মধ্যে রবিবার গভীর রাতে ত্রিপুরার দুই পরিবার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজ্যে ফিরেছেন৷ চেন্নাই থেকে আগরতলায় আসতে তাঁদের গুনতে হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা৷ রাতেই তারা উদয়পুর পৌঁছে গেছেন৷ করোনা মোকাবিলায় নিয়ম মেনে আজ থেকে তাদের ১৪ দিনের জন্য বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
স্ত্রী-কে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে আগরতলায় পৌঁছেন উদয়পুর নিবাসী ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দফতরের সহ-অধিকর্তা চঞ্চল মজুমদাব৷ তাদের সাথে ত্রিপুরার আরও এক পরিবার এসেছে৷ এ-বিষয়ে ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দফতরের সহ-অধিকর্তা চঞ্চল মজুমদার বলেন, গত বছর ১৬ সেপ্ঢেম্বর স্ত্রী-র ব্রেন টিউমার অপারেশন হয়েছিল৷ সে-মোতাবেক ২৩ মার্চ চেকআপের তারিখ নির্ধারিত ছিল৷ তাই ২২ মার্চ আমরা চেন্নাই যাইঊ কিন্ত, সেখানে চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর লকডাউনে আটকা পড়ে যাই৷ তিনি বলেন, প্রথমে ২৭ মার্চে বিমানের টিকিট কাটা ছিল আমাদের৷ কিন্তু সেই টিকিট বাতিল হয়ে যায়৷ পরবর্তী সময়ে ১৪ এপ্রিল লকডাউন সমাপ্ত হবে ভেবে ১৫ এপ্রিলের বিমানের টিকিট ক্রয় করি৷ কিন্ত, লকডাউনের সময়সীমা ফের বেড়ে যাওয়ায় ওই টিকিটও বাতিল হয়ে যায়৷
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা স্বামী-স্ত্রী ত্রিপুরার বাইরে ছিলাম৷ এতে ছেলেমেয়েরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিল৷ তাছাড়া বাড়িতেও সমস্যা হচ্ছিল৷ তাই, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ত্রিপুরায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেই৷ তিনি বলেন, উদয়পুরের আরেক পরিবার আমাদের সাথে যোগ দেন৷ এর পর হাসপাতাল এবং স্থানীয় থানা থেকে আমরা ছাড়পত্র নিয়ে রওয়ানা দেই৷ তিনি জানান, ১৫ এপ্রিল দুপুর ২-টায় চেন্নাই হাসপাতাল থেকে আমরা ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি৷ পথে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং মেঘালয় সীমান্তে তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, রবিবার আমরা চোরাইবাড়ি দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করি৷ ধর্মনগর থেকে আমাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান, হাসপাতাল থেকেই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দেওয়া হয়েছে৷ এতে আমাদের ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে৷