করোনা : রাজ্যে এসমা লাগু

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ এপ্রিল৷৷ এসমা (এসেনশিয়াল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট এক্ট) আইন চালু করল ত্রিপুরা সরকার৷ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ত্রিপুরাবাসীর স্বার্থে আজ থেকেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে টুইট করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ এদিকে, সরকারি কর্মচারীরা ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং চাকুরীর নিয়ম ভাঙ্গার কারণে এক নির্দেশিকায় শুধুমাত্র দফতর সচিব, পুলিশের মহানির্দেশক, পিসিসিএফ এবং জেলা শাসকদের করোনা ভাইরাস নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ আজ স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছন, গতকাল জিবি হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রী সম্পূর্ণ ভুল বার্তা ছড়িয়েছেন কয়েকজন কর্মচারী৷ এমন ১৮ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে৷


ত্রিপুরায় করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷ আইনী পদক্ষেপ নিয়েও তা থামানো যাচ্ছে না৷ গতকাল জি বি হাসপাতালে কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন৷ তাঁরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন৷ ওই ঘটনায় আজ ত্রিপুরার স্বাস্থ্য সচিব বলেন, গতকালের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক৷ পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রীর মজুত থাকা সত্ত্বেও একাংশ সরকারি স্বাস্থ্য কর্মী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ তিনি বলেন, গতকাল যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাদের এন-৯৫ মাস্ক কিংবা পিপিই কীট ব্যবহারের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই৷ কারণ, তাঁরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পরিষেবায় নিযুক্ত নন৷ তিনি বলেন, গতকালের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷ স্বাস্থ্য কর্মীদের ১৮ জনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে৷


এদিকে, আজ ত্রিপুরা সরকার এক আদেশ জারি করে বলেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সাথে দফতরের সচিব, পুলিশের মহা নির্দেশক, পিসিসিএফ এবং জেলা শাসকরা কথা বলতে পারবেন৷ এছাড়া, অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না৷ ওই আদেশনামায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কিছু সরকারি কর্মচারী করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন৷ তাতে, তাঁরা সরকারি চাকুরীর নিয়ম ভঙ্গ করছেন৷ তাই, নির্দিষ্ট আধিকারিকদের কথা বলার এক্তিয়ার দিয়ে আদেশ জারি করেছে ত্রিপুরা সরকার৷


এদিকে, রাতে টুইট করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানিয়েছেন, রাজ্যে এএসমা আইন চালু করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ত্রিপুরাবাসীর স্বার্থে ওই আইন আজ থেকে চালু করা হচ্ছে৷ প্রসঙ্গত, চিকিৎসা, পরিবহন, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে বা বিপর্যস্ত বলে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কর্মবিরতি, ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং প্রয়োজনে কর্মচারীদের ওভারটাইম করতে বাধ্য করতে পারে প্রশাসন৷ এএসমা আইন লাগু করেই সরকারের পক্ষে তা সম্ভব৷ তাই ধারণা করা হচ্ছে, করোনা মোকাবিলা ওই আইন লাগু না করে সম্ভব নয় বলে মনে করছে ত্রিপুরা সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *