ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্ত রোগীর খবরে অতি সতর্কতা বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ এপ্রিল৷৷ ত্রিপুরায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলতেই অতি সতর্কতা অবলম্বন করেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ৷ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশি নাগরিক স্বদেশে ফেরত গেলেই তাঁদের ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকাব৷ মঙ্গলবার থেকে ওই আদেশ কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন এখানকার আখাউড়া ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক৷


ত্রিপুরায় গত ২৪ মার্চ দুপুর দুটা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে৷ ভারত সরকার ওইদিনই (২৪ মার্চ) মধ্যরাত থেকে সারা দেশে লকডাউন লাগু করেছে৷ ফলে গণপরিবহণ ব্যাবস্থা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়েছে৷ এমন-কি সীমান্তও সিল করে দেওয়া হয়েছেঊ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে৷এছাড়া, ভারত সরকার সমস্ত ভিসা বাতিল করেছিল আগেই৷ কিন্ত, লকডাউন সত্ত্বেও কিছু চেকপোস্ট খোলা রাখা হয়েছিল৷ তার মধ্যে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টও ছিল৷ এতে বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারছিলেনঊ তবে তাঁদের থার্মোমিটারে পরীক্ষা করে হাতে কোয়ারেন্টাইনের চিহ্ণ লাগানো হতো৷ এমন-কি, বিদেশ ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের কনুইয়ের উপর জামা পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যাতে ওই চিহ্ণ সকলের নজরে আসে৷


সোমবার ত্রিপুরায় প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে৷ সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার আরও সতর্কতা অবলম্বন করেছে৷ মঙ্গলবার থেকে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশি নাগরিক স্বদেশে ফিরলে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে৷ করোনা আক্রান্ত প্রদেশ সফর করার জন্যই ওই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক৷


আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিন ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে সে-দেশের নাগরিকরা ফিরেছেন৷ তিনি বলেন, ২৪ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত ১৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে স্বদেশে ফিরেছেন৷ বুধবার এই খবর লেখা পর্যন্ত কেউ বাংলাদেশে যাননি৷ তবে, গতকাল সাত বাংলাদেশি নাগরিক আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে স্বদেশে ফিরেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *