আগরতলা, ২৮ মার্চ (হি.স.) : ভারত সরকারের কাছে আরও ২০টি ভেন্টিলেটর চেয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার প্রস্তুতি হিসেবে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব ডা. দেবাশিস বসু৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭টি ভেন্টিলেটর রয়েছে৷ অবশ্য, ত্রিপুরায় এখনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজনকেও পাওয়া যায়নি৷ তবে ৫,২৬৭ জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে৷
তিনি বলেন, ত্রিপুরায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত নজরদারিতে রাখা হয়েছিল ৫,৩৬১ জনকে৷ তাঁদের মধ্যে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন ৪৯ জন৷ তাঁরা কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন৷ তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫,২৬৭ জন৷ তাছাড়া সন্দেহজনক ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, জানান তিনি৷
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, গতকালের পর আজ ফের কলকাতা থেকে সুরক্ষা সামগ্রী এসেছে৷ কাগর্ো বিমানে করে ওই সামগ্রীগুলি আনা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ৭,৪৩১টি এন ৯৫ মাস্ক, ৩৩,০৫৬টি ট্রিপল লেয়ার মাস্ক এবং ৫৪৯টি পিপিই কিট আজ এসেছে৷ তাঁর দাবি, চাহিদার ২০ শতাংশ সামগ্রী আমরা হাতে পেয়েছি৷
এদিন তিনি জানান, ভারত সরকারের কাছে ২০টি ভেন্টিলেটর চেয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷
বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭টি ভেন্টিলেটর রয়েছে৷ তাঁর দাবি, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে চিকিৎসার জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবেই আরও ভেন্টিলেটর চেয়েছে রাজ্য সরকার৷ এদিকে, স্টেট সার্ভেইলেন্স অফিসার ডা. দ্বীপ দেববর্মা জানিয়েছেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাসের জন্য আইজিএম হাসপাতালে ৩০ বেডের একটি পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড শুরু করা হবে৷

