BRAKING NEWS

রাজধর্ম না শিখিয়ে নিজেদের অতীত দেখুন, কংগ্রেসকে খোঁচা রবিশঙ্কর প্রসাদের

নয়াদিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি| লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা| শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২-এ| উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল| রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে কংগ্রেস| এ বিষয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ| রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, আমাদের রাজধর্ম না শিখিয়ে নিজেদের অতীত দেখুন| বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল কংগ্রেস| রাজধর্ম পালনের কথা বলা হচ্ছে আমাদের| রাজধর্ম নিয়ে কংগ্রেস এবং সোনিয়া গান্ধীকে আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাই| সোনিয়া জি সর্বপ্রথম আমাদের বলুন-পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে যাঁরা গৃহহীন, যাঁদের ধর্মের ভিত্তিতে নির্যাতন করা হচ্ছে, সেই সমস্ত মানুষদের সম্পর্কে অতীতে আপনাদের চিন্তাধারা ছিল| আপনাদের নেতারা বারবার এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট  করেছেন| ইন্দিরা গান্ধী উগান্ডার অভিবাসীদের সাহায্য করেছিলেন, রাজীব গান্ধী তামিলদের সাহায্য করেছিলেন, মনমোহন সিংও বলেছিলেন নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত| এটা কেমন ধরনের রাজধর্ম যা এখন পাল্টে গেল| ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী যা করেছিলেন তা কি ভুল ছিল?

সোনিয়াকে আক্রমণ করে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, সোনিয়া জি রামলীলা ময়দানে আপনি বলেছিলেন, চূড়ান্ত লড়াই হবে| এটা কেমন ধরনের ভাষা? এটা কী উত্তেজনা নয়? এনপিআর প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, কংগ্রেসই এনপিআর চালু করেছিল| আপনারা যদি চালু করেন তখন ঠিক, আমরা করলেই জনগণকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে? এটা কেমন ধরনের রাজধর্ম সোনিয়া জি? রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও বলেছেন, ‘দিল্লিতে যাতে শান্তি ফিরে আসে, সে জন্য জনগণের কাছে আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী| কারও কারও ছাদে পেট্রোল বোমা, অ্যাসিড এবং আরও অনেক কিছুই মিলেছে, টিভিতে তা দেখা গিয়েছে| দিল্লিতে শান্তি চাই এবং কংগ্রেস রাজধর্মের নামে দেশে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে| শান্তির জন্য এখন হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত, উত্তেজনা ছড়ানোর সময় নয় এখন|’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *