নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ফেব্রুয়ারী৷৷ বাঁশের তৈরি বোতলের ভীষণ চাহিদা৷ ত্রিপুরা ওই বোতল বিক্রিতে প্রস্তুত৷ তাই, খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি)-এর চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা ত্রিপুরা থেকে ওই সব বোতল ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷
গুয়াহাটিতে উত্তর- পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খাদি বোর্ড-কে নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ মূলত, খাদির ব্যাপ্তি বৃদ্ধির জন্যই ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে৷ এই সভায় ত্রিপুরা খাদি ও গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য খাদির প্রসারে ইতিবাচক মতামত দিয়েছে৷ তাঁর কথায়, এই অঞ্চলের খাদির অগ্রসরে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে৷
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে খাদির চর্চা হচ্ছে৷ ফলে, খাদির সামগ্রী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে৷ রাজীব ভট্টাচার্যের দাবি, প্লাস্টিকমুক্ত ভারত গঠনে আমরা অগ্রসর হয়েছি৷ তাই, পরিবেশবান্ধব সামগ্রীর প্রতি ঝেঁক রয়েছে আমাদের৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় পাস্টিকের বোতল ব্যবহার বন্ধে আমরা উদ্যোগী হয়েছি৷ সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরায় বাঁশের তৈরি বোতল প্রস্তুত হচ্ছেঊ চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহে আমরা আগ্রহী, বলেন রাজীববাবু৷
এ-বিষয়ে জানতে পেরে কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান বাঁশের তৈরি বোতলে আগ্রহ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, বেসরকারি একটি সংস্থা এ ধরনের বোতল সরবরাহ করছে৷ কিন্ত তারা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে৷ ত্রিপুরা খাদি ও গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের চেয়ারম্যান জোর গলায় বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বাঁশের তৈরি বোতল সরবরাহে আমরা সক্ষম৷
কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ত্রিপুরা থেকে প্রচুর পরিমাণে বাঁশের তৈরি বোতল ক্রয় করা হবে৷ ধারণা করা হচ্ছে, বাঁশের তৈরি বোতল ত্রিপুরায় বিরাট শিল্পে পরিণত হবে৷ শুধু তা-ই নয়, ওই শিল্প বিরাট কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করবে৷