নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, তেলিয়ামুড়া, চড়িলাম, ৩০ জানুয়ারি৷৷ লক্ষাধিক টাকার ব্রাউন সুগার সহ পাথারকান্দি পুলিশের জালে আটক শ্যালক ও জামাইবাবু৷এবার লক্ষাধিক টাকার ব্রাউন সুগার সহ দুই পান্ডা ধরা পড়ল পার্শবর্তী রাজ্য আসামের পাথারকান্দি পুলিশের হাতে৷জানা গেছে গোপন সুত্রের ভিত্তিত্বে মঙ্গলবার রাত অনুমানিক নয়টা নাগাদ পার্শবর্তী রাজ্য আসামের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি পুলিশ স্থানীয় আছিমগঞ্জ সুমো ষ্ট্যন্ড সংলগ্ণ স্থানের এক গোপন ডেরায় হানা দিলে এ সাফল্য আসে৷উক্ত পুলিশি অভিযানে হাতেনাতে সর্বনাশা ড্রাগস সহ ধরা পড়ে দুই পান্ডা৷তাদের একজন হল বাহার উদ্দিন(২৫)পিতার নাম ফয়জুর রহমান৷বাড়ি মানিকপাড়ায়৷ধৃত অন্যজনের নাম সইদুল আলম(১৯)পিতার নাম ময়ূর উদ্দিন৷বাড়ি ষোলঘরি গ্রামে৷ওরা সম্পর্কে শ্যালক ও জামাইবাবু৷ধৃতদের কাছ থেকে মোট ২৪ গ্রাম বার্মিজ ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়৷যার বাজার মূল্য অনুমানিক লক্ষাধিক টাকার মত হবে বলে পুলিশ সুত্রে প্রকাশ৷এ মর্মে পাথারকান্দি থানার ইন্সপেক্টর ওসি ঘনকান্ত ভূঁইয়া জানান যে ধৃতদের আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে৷এবং এলাকা জুড়ে জাঁকিয়ে বসা সর্বনাশা নেশার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান আরও তীব্র করে তোলা হবে৷এ ব্যপারে তিনি এলাকার সচেতন মহলের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেছেন৷
এদিকে, নেশা বিরোধী অভিযানে আবারও বড়সড় সাফল্য পেল মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ৷ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় একটি ট্রাক গাড়ি (কন্টেনার) থেকে ৪৪৬ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে৷ যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ যখন গাড়ি চেক করছিল সকাল থেকে এনএইচ-৮-এ, তখন সিজি০৮২-৪৫৬৬ কন্টেনার গাড়িটিকে দাঁড়ানোর কথা বললে গাড়িটি দাঁড়ানোর চেষ্টা করেনি৷ তখন পুলিশের সন্দেহ হয় এবং গাড়িটিতে তল্লাশি চালায়৷ তল্লাশির সময় গাড়িটিতে গাঁজার গন্ধ পাচ্ছিল৷ কিন্তু কোথায় গাঁজা আছে তা জানতে পারছে না৷ পরে গাড়িটি মুঙ্গিয়াকামী থানায় নিয়ে এসে চালকের পেছনের একটি বাক্স থেকে ৪৬ প্যাকেট শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে৷ সঙ্গে সঙ্গে চালক টুটন কুমার ও সহ চালক নিতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করে৷ এদিকে মুঙ্গিয়াকামী থানা সূত্রে জানা যায়, থানার ওসি সুরাসেন ত্রিপুরা নাকি এগুলো ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফা করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু এসডিপিও-এর কাছে খবর যেতে এবং তিনি ঘটনাস্থলে যেতেই তা আর সম্ভব হয়নি৷ কারণ, গাড়িটি বেলা ১১টা নাগাদ ধরলেও দড় কষাকষি করতে দেরি হয়ে যায়৷ এবং সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ গাঁজাগুলি গাড়ি থেকে উদ্ধার করে৷ এদিকে ওসিকে রাতেই ক্লোজ করার আদেশ দেয় এসডিপিও৷
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন খবরের ভিত্তিতে বিশালগড় থানার পুলিশ প্রচুর পরিমানে নেশা সামগ্রী উদ্ধার করেছে৷ বিশালগড় থানাধীন নারাওরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বপন কুমার শীলের নিজ বাড়ি থেকে ৩৫০৬ টি এসপি ট্যাবলেট, ৫৫ বোতল এসকফ সিরাপ উদ্ধার করেছে বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তাপস কান্তি পাল সহ বিশাল সংখ্যক টিএসআর জওয়ান এ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ তাছাড়া পুলিশ নারাওরা থেকে স্বপন কুমার শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে৷শুক্রবার আটক হওয়া ব্যাক্তিকে আদালতে তোলা হবে বলে এসডিপিও জানান৷