নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি৷৷ সিকিমের পর ত্রিপুরা জৈব চাষের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাজ্য হওয়ার দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে ১০ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে৷ যেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮৮ লক্ষ টাকা কোটি৷ প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রী মহাকরণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান, গত দুই অর্থবছরে রাজ্য সরকার রাজ্য জুড়ে ২৪ টি আরডি ব্লকের ৬০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ২০০০ হেক্টর জমিতে ধান, আদা, হলুদ, ভুট্টা এবং সরিষার মতো বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করেছে৷৷ এই ফসলের প্রথম পর্যায়ে ব্যয় করা হয়েছে ১৯.৪৩ কোটি টাকা৷
দ্বিতীয় ধাপে, রাজ্য সরকার তিন অর্থবছরের মেয়াদে ১ লাখ মে.টন উৎপাদন করে ৪০০০ হেক্টর জমিতে জৈব চাষ পদ্ধতিতে ফসল চাষের লক্ষ্য নিয়েছিল৷ রাজ্য জুড়ে ৩৫ টি আরডি ব্লকের ১৩০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন এই চাষাবাদ হবে৷ ফসলের মধ্যে রয়েছে- ধান, হলুদ, মরিচ এবং আনারস৷
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ অধিকর্তা দেবপ্রসাদ সরকার জানান, জৈব চাষের প্রথম পর্যায়ে ৬০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ হাজার কৃষক ছিলেন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২৩৩ কৃষক ছিলেন৷প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার আওতায় ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬১১ জন কৃষক ১৩৯ কোটি টাকা পেয়েছেন৷ ৭৭ হাজার ৫২৩ জন কৃষক কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের (কেসিসি) আওতায় ৮৫ লাখ ৫ ৫৮৭ টাকা পেয়েছেন৷