নয়াদিল্লি, ২৭ জানুয়ারি (হি.স.) : এবার শাহিনবাগ প্রসঙ্গে পারদ চড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সোমবার তিনি বলেন এখানে ভারতীয় পতাকা ব্যবহার করে সেই সমস্ত নাগরিকদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাঁরা ভারতকে ভাগ করতে চান।
শাহিনবাগ প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগড়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠদের কণ্ঠ রোধ করতে শাহিনবাগ একটি টেক্সট বুক কেস হিসাবে উঠে আসছে। শাহিনবাগ আর কোনও আলাদা জায়গা নয়। এটা একটা ধারণা। যেখানে ভারতীয় পতাকা ব্যবহার করে সেই সমস্ত নাগরিকদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাঁরা ভারতকে ভাগ করতে চান। এঁদের সমর্থন করছে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং। এটাই শাহিনবাগের আসল মুখ। এই মুখোশ গোটা দেশের সামনে খুলে দেওয়া খুব জরুরি।’ রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন প্রশ্ন তোলেন যে, ‘কেন শাহিনবাগ নিয়ে রাহুল গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল চুপ করে রয়েছেন |’
এর আগে শাহিনবাগের বিরোধিতা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, দিল্লি নির্বাচনে যদি বিজেপি জিতে যায়, তাহলে দূষণ মুক্ত দিল্লি উপহার দেওয়া যেমন বিজেপির প্রতিশ্রুতি, তেমনই যে দিল্লি বিজেপি এনে দিতে চাইছে তাতে জায়গা থাকবে না শাহিনবাগের। শাহিনবাগের প্রতিবাদ মঞ্চ নিয়ে সরব হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তিনি বলেছিলেন, শাহিনবাগে মহিলা ও শিশুদের সামনে রেখে পুরুষরা কম্বলের নিচে থাকেন।
উল্লেখ্য, দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে এবার এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োর ভিত্তিতে সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ এনে মামলা করে অসম সরকার। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে সারজিলকে বলতে দেখা যায়, ‘‘অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত। অসমে মুসলিম ও বাঙালিদের মারা হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে সব বাংলাভাষীকে মারা হবে। যথেচ্ছভাবে তাঁদের ডিটেনশন শিবিরে পাঠানো হচ্ছে। তাই রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে ভারত থেকে অসমকে আলাদা করতে হবে। পুরো না হলেও কয়েক দিনের জন্যে।’’ এই মন্তব্যকে প্ররোচনামূলক মনে করেই মামলা রুজু করে অসম সরকার।