আগরতলা, ২৫ জানুয়ারি (হিঃসঃ)৷৷ রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণে আরও ১১৫টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি)ঊ এর জন্য ৩,২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা৷ সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে ওএনজিসি৷
রাজ্যে ওএনজিসি-র গ্যাস উৎপাদন অনেকটা বেড়েছেঊ তবুও প্রয়োজন মেটাতে ঘাটতি রয়েছে৷ বর্তমানে রাজ্যে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে চারটি৷ পালাটানায় ওটিপিসি, রামচন্দ্রনগরে নিপকো, রুখিয়া এবং বড়মুড়ায় ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগমের উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে৷ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায়ই গ্যাসের ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে৷ তাছাড়া, গ্যাসের অভাবে সার কারখানাও স্থাপন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি৷ রাজ্যে ভূ-গর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্ভাব৷ কিন্ত সেই গ্যাস উত্তলনের প্রতিকূলতায় বিরাট ক্ষতি হচ্ছে ত্রিপুরার৷ কারণ, ইদানীং পাইপলাইনে বাড়ি বাড়ি গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে৷ রান্নার কাজে সেই গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা আরও বেড়েছে৷
সম্প্রতি ওএনজিসি রাজ্যে গ্যাস উত্তলনে আরও কূপ খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ইতিমধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১১৫টি স্থান চিহ্ণিত করেছে ওই সংস্থা৷ কূপগুলি খননে ৩,২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওএনজিসি৷ আগরতলার ডোম, বড়মুড়া, কোনাবন, মানিক্যানগর, সুন্দলবাড়ি এবং সোনামুড়ায় কূপ খননের স্থান চিহ্ণিত হয়েছে৷
২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মেয়াদে ওএনজিসি-র গ্যাস উৎপাদন ২.৬২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,১৭৪ এমএমএসসিএম৷ আগামী ১৫ বছরে ওএনজিসি ত্রিপুরা অ্যাসেট ৫ লক্ষ এমএমএসসিএম গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা নিয়েছে ওএনজিসি৷ তাই ত্রিপুরায় গ্যাস উত্তোলনের জন্য আরও কূপ খননে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের অনুমতি চাওয়া হয়েছে৷