কাশ্মীরে বন্দি রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পক্ষে সওয়াল আমেরিকার

নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারি (হি.স.): কাশ্মীরে বন্দি রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পক্ষে সওয়াল করল আমেরিকা | কোনও অভিযোগ ছাড়াই বন্দি করা হয়েছে তাদের  ছেড়ে দেওয়া হোক। সদ্য কাশ্মীর ঘুরে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত প্রিন্সিপ্যাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস আবেদন করেছেন কোনও অভিযোগ ছাড়াই কাশ্মীরে বন্দি রাজনৈতিক নেতাদের তাদের  ছেড়ে দেওয়া হোক।

ওয়াশিংটনে কাশ্মীর সফর প্রসঙ্গে সংবাদিকদের তিনি বলেন, উপত্যকায় ধীরে ধীরে ইন্টারনেট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।  অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সফরে আমরা খুশি। আমাদের আশা নিয়মিত  আমাদের কাশ্মীরে যেতে দেওয়া হোক। পাশাপাশি, কাশ্মীরের যেসব রাজনৈতিক নেতাদের কোনও অভিযোগ ছাড়াই বন্দি করা হয়েছে তাদের  ছেড়ে দেওয়া হোক।

অ্যালিস মুখ খোলেন ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়েও | তিনি বলেন, ভারতে নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা গেল।  এনিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছেন সাধারণ মানুষজন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আইনত দেশের সব নাগরিকের সমানাধিকার পাওয়া উচিত।

 উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর সেখানে এসেছিলেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন এমপি। তার পর ফের সেখানে যান বিদেশি কূটনীতিকরা। সম্প্রতি এ মাসের গোড়ার দিকে কাশ্মীর সফরে আসেন ১৫ দেশের কূটনীতিক। এই দলে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত প্রিন্সিপ্যাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলসও |  

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করা হয়।  তার পর থেকেই সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, জাতীয় নিরাপত্তা আইনে সেখানকার অধিকাংশ নেতাকে বন্দি করা হয়। সম্প্রতি ২ নেতাকে ছাড়া হলেও, উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কেউই ছাড়া পাননি। এর মধ্যেই পাস করানো হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। আর তাতেই দেশের নজর অনেকটাই ঘুরেছে কাশ্মীর থেকে। কিন্তু কাশ্মীরের ওপরে নজর রেখে চলেছে বিদেশি রাষ্ট্রগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *