আগরতলা, ৭ জানুয়ারি (হি.স.) : স্টেট গুডস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (এসজিএসটি)-এর দ্বিতীয় সংশোধনী আজ ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যাসিলিটেশন প্রথম সংশোধনীও মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, আজ রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যাসিলিটেশন প্রথম সংশোধনী বিল-২০২০-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ২০১৯ সালে এ-বিষয়ে একটি বিল পাশ করা হয়েছিল৷ পরে দেখা যায় ওই বিলে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে৷ তাঁর দাবি, সংশোধিত বিলে নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে৷ এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনও শিল্পোদ্যোগী ত্রিপুরায় শিল্প স্থাপন করার জন্য আবেদন করে যদি দেখেন অনুমোদন পেতে দেরি হচ্ছে তখন তাঁর দফতরের কাছে দেরির কারণ জানার অধিকার থাকবে৷ যদি কোনও অফিসার ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করেন তা-হলে তাকে প্রতিদিন ১,০০০ টাকা করে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হবে৷ তবে এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, যদি কোনও শিল্পোদ্যোগী শহর ও শহরতলিতে শিল্প স্থাপন করতে চান তবে ত্রিপুরা আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি-র অনুমোদন নিতে হবে৷ এখন থেকে নতুন শিল্প স্থাপনের স্থান শিল্প ও বাণিজ্য দফতর, অগ্নিনির্বাপক দফতর, আগরতলা পুর নিগম এবং ফ্যাক্টোরিজ ও বয়লার্স দফতর যৌথভাবে পরিদর্শন করবে, জানান তিনি৷
এদিন তিনি আরও জানান, জিএসটি কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে ত্রিপুরা স্টেট গুডস্ অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স-এর দ্বিতীয় সংশোধনী আজ মন্ত্রিভার বৈঠকে গৃহীত হয়েছে৷ এই সংশোধনীতে নতুন তিনটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে৷ আগে সংশোধিত ধারা ছিল ১৮টি৷ এখন সর্বমোট ধারা হবে ২১টি৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে জিএসটি-তে রাজ্যে মোট সংগৃহীত হয় ৬০৮.৭১ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে রাজ্যে সংগৃহীত হয় ৪৭৯.৭১ কোটি টাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে ১২৯ কোটি টাকা৷ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মোট সংগৃহীত হয় ১১৩২.৪৪ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে রাজ্যে সংগৃহীত হয় ৯৭৭.৪৪ কোটি টাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট সংগৃহীত হয়েছে ৯৩১.৭৭ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে রাজ্যে সংগৃহীত হয় ৭৬০.৭৭ কোটি টাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে ১৭১ কোটি টাকা৷