রাজ্যে ১৯২টি কাজ অসম্পূর্ণ রেখে শাসন ক্ষমতা বদল হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যে ১৯২ কাজ অসম্পূর্ণ রেখে শাসন ক্ষমতা বদল হয়েছে৷ ২০০৬-০৭ অর্থ বছর থেকে শুরু করে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত ওই কাজে ৫৫১ কোটি টাকা অব্যয়িত রয়েছে৷ অবশ্য রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৭১ টি কাজ সমাপ্ত হয়েছে৷ আরও ৩৫টি কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার৷ এমনকি এক বছরের মধ্যে সমস্ত অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে দাবি বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের৷


প্রসঙ্গত, গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা চালু করেছিল৷ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে ২৬৯৮ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে৷ ২০০১-০২ অর্থ বছর থেকে প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল কিন্তু, প্রকল্প শুরু হওয়ার কিছু দিন পর থেকেই এই প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করে৷ বিশেষ করে নির্মাণ সংস্থা বাছাই নিয়েই পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ ছিল৷ অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নির্মাণ কাজে নির্মাণকারী সংস্থা বাছাই করতে গিয়ে একাধিক ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ তাই, ১৯২টি কাজ পূর্বতন সরকারের আমলে সমাপ্ত হয়নি৷


পূর্ত দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ি ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে একটি, ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ১০টি, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে ২টি, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ১২টি, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১২৪টি, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ২৩টি এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২০টি কাজ অসম্পূর্ণ ছিল৷ ওই ১৯২টি কাজের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৫১ কোটি টাকা৷ সেই টাকা সরকার পরিবর্তন হওয়ার সময় অব্যয়িত ছিল৷


পূর্ত দপ্তরের দাবি, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় এনবিসিসি ও এইচসিএলকে নির্মাণ কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, নির্মাণ সংস্থা বাছাইয়ে ত্রুটি থাকার কারণে কাজগুলি সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি৷ রাজ্য সরকার সমস্ত অসমাপ্ত কাজ এক বছরের মধ্যে সমাপ্ত করতে চাইছে৷ ইতিমধ্যে, ৩৫টি কাজ দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্মাণ সংস্থার কাছ থেকে সড়িয়ে এনে পুনরায় পূর্ত দপ্তর থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে৷ এর সাথে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রাপ্ত আরও ৪৩টি কাজেরও দরপত্র আহ্বান করেছে পূর্ত দপ্তর৷ ওই কাজে একটি সেতু ও ৪২টি সড়ক রয়েছে৷ পূর্ত দপ্তরের দাবি, মোট ৩০৭ কিমি সড়ক নির্মাণ করে পরিবর্তী সময়ে আরও ৭৭৫ কিমি কাজের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *