হায়দরাবাদ, ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় পাশ দিশা বিল । শুক্রবার, অন্ধ্রপ্রদেশ দিশা ফৌজদারি আইন (অন্ধ্র সংশোধনী) বিল, ২০১৯ পাশ করানো হয়। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তদের ২১ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে এই বিলে | মূলত, ওই পশু-চিকিৎসককে শ্রদ্ধা জানাতেই আইনের নাম ‘দিশা’ রাখা হয়েছে।
প্রতিবেশী রাজ্য তেলঙ্গানায় পশু-চিকিৎসক গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন আইন দ্রুত পাশ করানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্ধ্রপ্রদেশ প্রশাসন। শুক্রবার, অন্ধ্রপ্রদেশ দিশা ফৌজদারি আইন (অন্ধ্র সংশোধনী) বিল, ২০১৯ পাশ করানো হয়।
এই আইন অনুযায়ী, ‘ধর্ষণ ও গণধর্ষণে দোষীসাব্যস্তদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। ২১দিনের মধ্যে বিচারপর্ব শেষ করতে হবে। ৭দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে পুলিশের তদন্ত। পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে শুনানি। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম সুচারিতা বিলটি বিধানসভায় পেশ করেন। অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিলটিকে ‘বৈপ্লবিক’ বলে উল্লেখ করেছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় যথেষ্ট প্রমাণ থাকলে, দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। অন্য কোনও বিকল্প দেওয়া হবে না। মূলত, তেলঙ্গানায় পশু-চিকিৎসক ওই পশু-চিকিৎসককে শ্রদ্ধা জানাতেই আইনের নাম ‘দিশা’ রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি বলেন, নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের এখনও শাস্তি হয়নি। দিশার পর দেশব্যাপী যে বিপুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ওঠে, এই বিল তৈরির সময় তা মাথায় রাখা হয়েছিল। তিনি জানান, যেহেতু দিশা বিল কেন্দ্র ও রাজ্য– যৌথ তালিকাভুক্ত, তাই এই বিলটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।–হিন্দুস্থান সমাচার / কাকলি
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ বিজেপির মহিলা এমপিদের প্রতিনিধিদল
নয়াদিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ বিজেপির মহিলা এমপিদের প্রতিনিধিদলের। ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় শুক্রবার কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, সরোজ পান্ডে প্রমুখ। তাঁরা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ধর্ষণকে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসাবে কাজে লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে ‘সম্ভাব্য কঠোরতম পদক্ষেপ’ দাবি করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গতকাল ঝাড়খন্ডে নির্বাচনী জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র কথা বলেছেন, কিন্তু আজকাল যেদিকেই তাকান, মনে হবে ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’। রাহুলের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বিজেপি দাবি করেছে, তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। স্মৃতি বলেন, ইতিহাসে এই প্রথম একজন নেতা উদাত্ত আহ্বান করছেন, মহিলা ধর্ষণ হওয়া উচিত। রাহুল গান্ধী কি দেশের মানুষকে এটাই বার্তা? তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি করে স্মৃতি অভিযোগ করেন, রাহুলের মন্তব্য রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের পর্যায়ে পড়ে, এজন্য তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। রাহুলের ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ কটাক্ষকে ‘ভয়ঙ্কর’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও বলেন, একজন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা মহিলাদের সম্ভ্রমের কথা ভুলে গিয়েছেন, এটাই লজ্জার কথা। তিনি আরও বলেন, হতে পারে আমরা ওদের বিরোধী শিবিরে, কিন্তু দেশের কথা বলার সময় আমাদের সবার সুর এক হওয়া উচিত বলেই মনে হয়।
রাহুল অবশ্য বিজেপির সমালোচনা উড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কখনই ক্ষমা চাইবেন না, উল্টে দাবি করেছেন, নরেন্দ্র মোদীর একটি পুরানো ভিডিও আছে যাতে তিনি দিল্লি ইউপিএ শাসনে ‘ধর্ষণ রাজধানী’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, ফলে তাঁরই ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাহুল বলেছেন, বিজেপির কাছে কোনওদিন ক্ষমা চাইব না।