রাঁচি, ৩০ নভেম্বর (হি.স.) : নিজের পকেট ভর্তি করা ছাড়া আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার নেতারা কিছুই করেনি বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/12/Minakshi-Lekhi-1020x1024.jpg)
শনিবার রাঁচির দলীয় কার্যালয়ে বসে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো হেমন্ত সোরেনকে কটাক্ষ করে মীনাক্ষী লেখি বলেন, সম্প্রতি হেমন্ত সোরেন দাবি করেছিলেন যে যারা আদিবাসী নন, তাদের ভোট তার দরকার নেই। হেমন্ত সোরেন কথাটা এমন ভাবে বলেছেন যে তিনি আদিবাসী উন্নয়নের জন্য কত কি করেছেন। কিন্তু বাস্তবটা হল নিজের পকেট ভর্তি করা ছাড়া আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য ঝাড়খন্ড মুক্তির মোর্চার নেতারা কিছুই করেনি। হেমন্ত সোরেন আদিবাসীদের চাকরি দেয়নি, শৌচাগার গড়ে দেয়নি। এমনকি বাড়িও তৈরি করে দেয়নি। উল্টে বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং আয়ুষ্মান ভারত যোজনার থেকে উপকৃত হয়েছে রাজ্যবাসীর। বিজেপি যে আদিবাসীদের ভোট পাবে সেই বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে মীনাক্ষী লেখি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ৩০ লক্ষ পরিবারের বাড়িতে বিদ্যুত পৌঁছিয়ে দিয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। কেন্দ্রে এবং রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকার ফলে তা সম্ভব হয়েছে।
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে আক্রমণের ধারা বজায় রেখে মীনাক্ষী লেখি জানিয়েছেন, ভূমিপুত্র হওয়া সত্বেও রাজ্য পিএসসি থেকে আঞ্চলিক ভাষা তুলে দিয়েছিলেন। বিজেপি সরকার এসে তা কার্যকর করেছে। ডালটনগঞ্জের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে কংগ্রেস প্রার্থী কে এন ত্রিপাঠি হাতে বন্দুক প্রদর্শনের নিন্দা করে মীনাক্ষী লেখি দাবি করেছেন যে এটাই কংগ্রেসের প্রকৃত স্বরূপ। এই ঘটনা সেই পুরনো দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। যখন বন্দুক দেখিয়ে ভোট লুঠ করা হতো। যে কোনও উপায় ক্ষমতায় আসার জন্য ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে অস্বাভাবিক জোট বেঁধেছে কংগ্রেস।