রাঁচি, ২৭ নভেম্বর (হি.স.) : রাজ্যের প্রতিটি শিশুকন্যাদের জন্য কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত শিক্ষা বিনামূল্যে করা হবে। বুধবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিজেপি সঙ্কল্প পত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/03/bjp-logo-1.jpg)
এদিন রাঁচির এক হোটেল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা, মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ মাথুর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি লক্ষণ গিলুবা উপস্থিতিতে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার সঙ্কল্পপত্র প্রকাশিত হয়। এই উপলক্ষ্যে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে নতুন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। এই পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বিজেপি নিজের সঙ্কল্প পূরণ করেছিল। কিন্তু নতুন রাজ্য হওয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিরতা চলছিল রাজ্য। ২০১৪ সালে রঘুবর দাসের সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। বিজেপি সরকার সার্বজনীন। সকল নাগরিকদের জন্য ভাবে এই সরকার।
এদিনের প্রকাশিত সঙ্কল্প পত্রে বিজেপি অঙ্গীকার করেছে যে রাজ্য সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি খেলাধূলোয় উৎসাহ প্রদানের জন্য ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ারও অঙ্গীকার করা হয়েছে। মাওবাদীদের পুরোপুরি দমন করার পাশাপাশি রাজ্যে এনআরসি বলবত করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও জানিয়েছেন, খেলাধুলোর ক্ষেত্রে রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনেক বেশি প্রতিভা রয়েছে। তাই সঙ্কল্প পত্রে ক্রীড়াক্ষেত্রের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে এদিনের প্রকাশিত সঙ্কল্প পত্রে জনকল্যাণমুখী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। কৃষি ক্ষেত্রে কৃষকদের কল্যাণের জন্য কৃষি আর্শীবাদ যোজনার আওতায় আরও বেশি পরিমাণ কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কৃষকদের পূর্ণাঙ্গ ফসল বীমা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পূর্ণ কৃষি বীমা যোজনা শুরু করা হবে। প্রতি ক্ষেতে জলের সরবরাহও করা হবে।
অন্যদিকে আদিবাসীদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে সঙ্কল্প পত্রেও একাধিক প্রতিশ্রুতি করা হয়েছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত আরও ৭০টি একলব্য স্কুল গড়ে তোলা হবে। আদিবাসী যুবকদের ক্ষমতায়নের জন্য একাধিক কৌশলগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি জেলায় পড়ুয়াদের জন্য ছাত্রাবাস গড়া হবে। স্বরোজগারের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারি প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্যের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।