নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ নভেম্বর৷৷ ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্বাঞ্চলের বাংলাদেশ ঘেরা উন্মুক্ত সীমান্তে শীঘ্রই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই৷ মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের তারকাচিহ্ণবিহীন প্রশ্ণের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ মোট সীমান্ত এলাকা রয়েছে ৪০৯৬.৭০ কিলোমিটার৷ তার মধ্যে পূবর্োত্তরের রাজ্যগুলির সাথে সীমান্ত এলাকা রয়েছে ১৮৮০ কিলোমিটার৷ তিনি জানান, আসাম ২৬৩ কিলোমিটার, মেঘালয় ৪৪৩ কিলোমিটার, মিজোরাম ৩১৮ কিলোমিটার এবং ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে ৮৫৬ কিলোমিটার৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপূর্বাঞ্চলে ত্রিপুরার সাথেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সীমান্ত এলাকা রয়েছে৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/05/map-bangladesh.jpg)
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, ওই ১৮৮০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৭৭ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ইতিমধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে৷ অবশিষ্ট ৪০৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের নির্মাণের কাজ শীঘ্রই সমাপ্ত করার চেষ্টা চলছে৷ তাঁর কথায়, ওই ৪০৩ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৬২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় টেকনোলজিক্যাল সলিউশন দিয়ে এবং অবশিষ্ট ৩৪১ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হবে৷
তাঁর দাবি, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আপত্তি অন্যতম কারণ৷ এছাড়া জমি অধিগ্রহণে সমস্যা, কাজের উপযোগী মরশুমে সময়ের অভাব এবং ভূখন্ডের কিছু অংশে সমস্যার কারণে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে৷ তবুও, ওই নির্মাণ কাজে ভারত সরকার ক্রমাগত নজরদারি বজায় রেখেছে৷ তিনি জানান, খুব শীঘ্রই কাজ সমাপ্ত করার জন্য সবর্োত প্রয়াস নেওয়া হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মধ্যে এখনও প্রায় ২০ কিলোমিটার সীমান্ত উন্মুক্ত রয়েছে৷ ফলে, পাচার বাণিজ্য অবাধে চলছে৷ অবশ্য, কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়েও পাচার বাণিজ্য বজায় রেখেছে পাচারকারীরা৷ ফলে, বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোটা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ হলে সীমান্ত সুরক্ষা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে৷