নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ অক্টোবর৷৷ দীপাবলি উৎসবের আনন্দে ভোর রাতে দুটি গাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে আরকে নগর এলাকায়৷ শুধু তাই নয়, পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর জমা না রাখারও অভিযোগ উঠেছে৷ অবশ্য ওই ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷ তবে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিক শ্রীকান্ত দাস৷
জানা গেছে, সোমবার ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ বোধজংনগর থানাধীন আরকে নগর এলাকায় শান্তিপল্লিতে একই বাড়িতে দুটি গাড়ি আগুনে পুড়ে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এ-বিষয়ে গাড়ির মালিক শ্রীকান্ত দাস জানিয়েছেন, টিআর ০১ জি ৩৯৩৭ এবং টিআর ০১ এএস ০৪৬৬ নম্বরের দুটি গাড়ি নিয়ে তিনি ও তাঁর ভাই রবিবার উদয়পুর গিয়েছিলেন৷ রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফিরেছিলেন৷ বাড়ি ফিরে দুজনেই বাড়ির উঠানে গাড়ি রেখে ঘরে ঘুমাতে চলে যান৷ তিনি বলেন, ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে বাজির শব্দে তাঁর স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়৷ এর পর তিনি বেশ কয়েকটি বাজির শব্দ শুনতে পান৷ তখনই দেখেন উঠানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘরের বাইরে এসে দেখেন দুটি গাড়িতে আগুন৷ শ্রীকান্তবাবু বলেন, বোধজং নগর থানা এবং দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হলেও নিজেরাই আগুন আয়ত্তে নিয়ে এসেছেন৷
তিনি জানান, ওই সময় এলাকারই এক যুবক অভিজিৎ দেবনাথ ওরফে মান্তুকে ধরে ফেলেছেন তাঁরা৷ তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ শ্রীকান্তবাবু বলেন, দুটি গাড়িতে অভিজিৎ আগুন লাগিয়েছে সন্দেহে থানায় এফআইআর করতে গেলে থানা অভিযোগ নেয়নি৷ আক্ষেপ করে বলেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে পুলিশ ওই ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ অবশ্য, তার আক্ষেপের পেছনে অন্য কারণও রয়েছে৷
তাঁর কথায়, দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও শাসক দলের নেতারা নব্যবিজেপিদের পক্ষে সওয়াল করছেন৷ তিনি বলেন, গ্রামের প্রধান ও অন্য নেতারা ধৃত যুবক অভিজিৎকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন৷ অথচ, দীর্ঘদিনের পুরনো বিজেপি সমর্থক হয়েও তাঁকে কেউ সহযোগিতা করছেন না৷ তাঁর অভিযোগ, ওই যুবক ইতিপূর্বে অসামাজিক কাজের যুক্ত রয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, একটি গাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্য গাড়ি সামান্য ক্ষতি হয়েছে৷ ওই ঘটনায় তদন্ত চলছে৷