নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছেন ভোটাররা৷ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বাধারঘাট উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিজেপি৷ দলের প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য এবং বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী এই ফলাফলে কংগ্রেস ও সিপিএম কাছে আসার সুড়সুড়ি দিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন৷

এদিন, নবেন্দু বাবু বলেন, উপনির্বাচনের ফলাফলে আমরা অত্যন্ত খুশি৷ তাই তিনি সমস্ত ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি বিজয়োল্লাসের নামে উশৃঙ্খলতা যাতে না হয়, সেবিষয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের সতর্ক করেছেন৷
এদিন বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী বলেন, এই ফলাফল কাঙ্খিত ছিল৷ ত্রিপুরার রাজনীতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে৷ তাঁর দাবি, সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছেন রাজ্যবাসী৷ বাধারঘাট উপনির্বাচন প্রমাণ করেছে গণতন্ত্র কিভাবে রক্ষা করতে হয়৷ তিনি বলেন, ওই নির্বাচনকে ঘিরে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ বিরোধিরাও এমন অভিযোগ করেননি৷ তাঁর কথায়, উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে৷ বিজেপি প্রার্থী ৫২৭৬ ভোটের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছেন৷
তিনি বলেন, বহু ষড়যন্ত্র হয়েছিল৷ কংগ্রেস-সিপিএম মিতালি, এই উপনির্বাচনে আরও কাছে আসার সুড়সুড়ি দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বাধারঘাটের বিচক্ষণ গণতন্ত্র প্রিয় গণদেবতারা বিগত দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মতাধিকার প্রয়োগ করেছেন৷ তাঁর দাবি, ওই নির্বাচনের ৭১টি বুথের মধ্যে ৬১টি বুথে বিজেপি প্রথম স্থানে রয়েছে৷ বাকি ৯টি বুথে সিপিএম এবং ১টি বুথে কংগ্রেস প্রথম স্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে৷
এদিন তিনি বলেন, উপনির্বাচনে ৭৯.৩৪ শতাংশ ভোট হয়েছে৷ এক্ষেত্রে ৫৭৯০৮ জন ভোটারের মধ্যে ৪৫৯৪৪জন ভোটার ভোট দিয়েছেন৷ সুশান্তবাবু এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছেন, উপনির্বাচনে বিজেপি ২০৪৮৭টি ভোট পেয়েছে, শতাংশের হিসেবে ৪৪.৫৯% , সিপিএম ১৫২১১টি ভোট পেয়েছে, যার শতাংশের হিসেব দাঁড়ায় ৩৩.১% , এবং কংগ্রেস ৯১০৫টি ভোট পেয়েছে, শতাংশের হিসেবে ১৯.২%৷ তাঁর কথায়, ভোট ফলাফল তুলনা করে দেখা গেছে ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪৩.৫৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল৷ সেই তুলায় সিপিএম ৪২.২২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, উপনির্বাচনে বিজেপির ১শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছে৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় এই নির্বাচনের ফলাফলে সদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে৷

