![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/09/Buddhadeb-ExCM.jpg)
কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শ্বাসকষ্ট নিয়ে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতাকে শুক্রবার রাতে ভর্তি করা হয়েছে উডল্যান্ডস হাসপাতালে। তাঁকে রাখা হয়েছে আইসিইউ-তে। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক | শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শুক্রবার রাতে ভর্তি করা হল উডল্যান্ডস হাসপাতালে । তাঁর রক্তচাপ কমে গিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালের আইসিসিইউ তৈরি রাখা হয়েছে | বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভর্তি নেওয়ার পর গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিতসকদের দল। জানা গিয়েছে, বুদ্ধবাবু রক্তচাপ কমে গিয়েছে। শরীরে কমে গিয়েছে অক্সিজেনের পরিমাণ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আপাতত শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ানোই অগ্রাধিকার।
বুদ্ধবাবু ভর্তি হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন চিকিত্সকদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার ৮ মিনিট পর হাসপাতালে পৌঁছন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও রবীন দেব। আলিমুদ্দিনকে আগেই খবর দেওয়া হয়েছিল। বুদ্ধদেববাবুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে জানান সূর্যবাবু। কলকাতায় আসছেন ইয়েচুরি। প্রকাশ কারাট ও বৃন্দা কারাত সূর্যকান্ত মিশ্রকে ফোন করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন।
গত আড়াই বছর ধরে গৃহবন্দী বুদ্ধবাবু। মাঝে শ্বাসকষ্টকে ছাপিয়ে গিয়েছিল চোখের সমস্যা। তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গিয়েছিলেন বুদ্ধবাবুর বাড়িতে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু, রাজি হননি বুদ্ধবাবু। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেডে খানিকটা জেদ করেই এসেছিলেন। তবে গাড়ি থেকে নামেননি। ১৫ মিনিট থেকেই ফিরে যান।
কয়েকদিন আগেই অসুস্থ মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়িতে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, তা দেখে প্রায় সকলেই বুঝতে পেরেছিলেন, শরীর একেবারেই ভালো নেই তাঁর। ইদানীং প্রায় সারাদিনই পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখতে হত তাঁকে।