দ্বিগুণ বাড়ল মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা, সংশোধনী বিল পাশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ দ্বিগুণ বাড়ছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী, অন্য মন্ত্রী, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিরোধী দলনেতা, মুখ্যসচেতক এবং বিধায়কদের বেতন-ভাতা৷ আজ বিধানসভায় এ-সংক্রান্ত সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে৷


মঙ্গলবার ত্রিপুরা বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের অন্তিম দিনে আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংশোধনী বিল অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করেন৷ ওই সময় বিধানসভায় বিরোধীরা ছিলেন না৷ কারণ তাঁরা আগেই ওয়াকউট করেছিলেন৷ তাই ধবনিভোটে সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গিয়েছে৷


নয়া সংশোধনী বিল অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর ৫৩,৬৩০ টাকা, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ৫২,৬৩০ টাকা, অন্য মন্ত্রীদের ৫১,৭৮০ টাকা, বিরোধী দলনেতার ৫১,৭৮০ টাকা, অধ্যক্ষের ৫১,৭৮০ টাকা, উপাধ্যক্ষের ৫০,৫১০ টাকা মুখ্য সচেতকের ৫১,৭৮০ টাকা এবং বিধায়কদের ৪৮,৪২০ টাকা বেতন হবে৷ এছাড়া অন্যান্য ভাতাও বাড়ছে তাঁদের৷


এদিকে, বেতন বাড়ার পাশাপাশি বাড়তে চলেছে পেনশনও৷ বিলের সংশোধনী মোতাবেক নতুন পেনশন হবে ৩৪,৫০০ টাকা৷ অতীতে তা ছিল ১৭,২৫০ টাকা৷ সাথে অন্যান্যও ভাতাও বাড়ছে৷
পূর্বতন সরকারের আমলে অন্তিমবার ২০১৬ সালে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বেড়েছিল৷ ওই বেতন বেড়ে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ২৬,৩১৫ টাকা, অন্য মন্ত্রীদের ২৫,৮৯০ টাকা, অধ্যক্ষের ২৫,৯৯০ টাকা, উপাধ্যক্ষের ২৫,২৫৫ টাকা, মুখ্য সচেতক এবং বিরোধী দলনেতার ২৫,৮৯০ টাকা এবং বিধায়কদের ২৪,২০০ টাকা৷ সাথে অন্যান্য ভাতাও বেড়েছিল৷ কিন্তু এবার একলাফে দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে তাঁদের বেতন-ভাতা৷


এদিন বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সমর্থনে ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়ক রতন চক্রবর্তী এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন৷ তবে, বিরোধী বিধায়ক তপন চক্রবর্তী এই বৃদ্ধিকে সমর্থন করেননি৷ তাঁর কথায়, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধির পক্ষে সুপারিশ করেছিলাম৷ কারণ, ত্রিপুরার আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী অস্বাভাবিক হারে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে৷


আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, অন্যান্য রাজ্যে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যেই মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা ত্রিপুরার তুলনায় অনেক বেশি৷ তাই, সমস্ত দিক বিবেচনা করেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে৷ কারণ, প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে৷ সেই সাথে অন্যান্য খরচ বাড়ছে৷ তাঁর দাবি, মূল্যসূচকের সাথে সাযুজ্য রেখেই বাড়ানো হয়েছে বেতন-ভাতা৷