সম্পত্তির লোভে ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে খুন, ভাসুর সহ আটক ৫, ধৃতদের বাড়িতে ভাঙচুর চালাল জনতা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ আগস্ট৷৷ ফের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ বুধবার সাতসকালে উত্তর ত্রিপুরা জেলা সদর ধর্মনগরের বীরবিক্রম ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়-এর পাশে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সামনে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ ধর্মনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম অনিতা নাথ (৩৫)৷ পুলিশের দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে৷ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে৷

এদিকে উত্তেজিত জনতা ওই খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজনদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন৷ খবর পেয়ে পুলিশ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে৷

উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আজ সকালে পথচারীরা এক মহিলার মৃতদেহ দেখতে পান৷ স্থানীয় বীরবিক্রম ইনস্টিটিউশন-এর পাশে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সামনে ওই মৃতদেহ দেখে স্থানীয় জনগণ খবর দেন থানায়৷ খবর পেয়ে ধর্মনগর থানার ওসি এবং এসডিপিও রাজীব সূত্রধর ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ পুলিশ সুপার বলেন, আমিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি৷ তাছাড়া পুলিশ কুকুর নিয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হয়েছে৷

ভানুপদবাবু বলেন, ওই মহিলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ঠিক পেছনেই থাকতেন৷ পাঁচ মাস আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে৷ ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া তার একটি মেয়ে রয়েছে৷ তিনি জানান, মৃত্যুর কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি৷ তবে, আনা হয়েছে পুলিশ কুকুর এবং পর্যবেক্ষণ করেছেন মহিলা পুলিশ ও ধর্মনগরের এসডিপিও রাজীব সূত্রধর৷ উত্তর জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ওই মহিলার মৃতদেহ ধর্মনগর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে৷

এদিকে, পুলিশ মৃতার ভাসুর, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর ছেলে ও মৃতার ননদ-সহ আরও এক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে৷ ওই খুনের ঘটনায় তাদের উপর পুলিশের সন্দেহ হয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ঘটনায় ক্লু পাওয়া গেছে৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তির জন্যই ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বড় ভাই ও তার পরিবার খুন করেছে৷

উত্তর জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতার বাড়ির উঠানে একটি মগ এবং দুটি ফিনাইলের বোতল পাওয়া গেছে৷ তদন্তের স্বার্থে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ তিনি আরও জানান, ওই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে৷ ঘটনার সত্যতাও পাওয়া যাবে৷

এদিকে, সন্দেহভাজন ধৃত দুজনের বাড়িতে ক্ষুব্ধ জনতা আজ দুপুরে ভাঙচুর চালিয়েছেন৷ খবর পেয়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে৷ পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই মহিলার মৃত্যুতে স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *