নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ আগস্ট ৷৷ বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দ অর্থ অব্যায়িত থাকায় মহকুমা শাসকরা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে পারছেন না৷ ফলে, পূর্বতন সরকারের আমলে বাম বিধায়কদের আচরনে বর্তমান বিধায়করা সমস্যা পড়েছেন৷
পরিকল্পনা ও সমন্বয় দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা ক্ষেত্রে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ প্রচুর অর্থ অব্যায়িত রয়েছে৷ ছাওমনু বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক নিরাজয় ত্রিপুরা, ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ীকা টুনুবালা মালাকার এবং পাবিয়াছড়া কেন্দ্রের বিধায়ক প্রয়াত সুবোধ দাশ প্রত্যেকের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে ৪৭ লক্ষ টাকা করে ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে অব্যায়িত রয়েছে৷ তেমনি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কাঞ্চনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক থাকাকালীন রাজেন্দ্র রিয়াং’র বিধায়ক তহবিল উন্নয়ন খাতে ১৪ লক্ষ টাকা অব্যায়িত রয়েছে৷ একই তালিকায় রয়েছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী ও বর্তমান বিধায়ক প্রভাত চৌধুরী৷ ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে তাদের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল খাতে ৩৫ লক্ষ টাকা অব্যায়িত রয়েছে৷
প্রাক্তন বিধায়কদের পাশাপাশি বর্তমান বিধায়করাও বিগত দিনে প্রচুর টাকা বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল খাতে খরচ করেননি৷ প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক তপন চক্রবর্তী, বিধায়ক জশবীর ত্রিপুরা, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক বাদল চৌধুরী, বিধায়ক সুধন দাস এবং বিধায়ক নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরী ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রত্যেকে ৪৯ লক্ষ টাকা করে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলখাতে বরাদ্দ অর্থ খরচ করেনি৷ ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বিধায়ক থাকাকালীন বাসুদেব মজুমদারও ১৪ লক্ষ টাকা ওই তহবিলে বরাদ্দ অর্থ খরচ করেনি৷
ফলে, এখন সংশ্লিষ্ট বিধানসভা ক্ষেত্রে মহকুমা শাসকদের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না৷ বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল খাতে বিগত দিনে বরাদ্দ অর্থ অব্যায়িত থাকায় বর্তমান বিধায়করাও খরচের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন৷ উদ্ভূত এই সমস্যার সমাধানে পথ খঁুজে বের করার চেষ্টা চলছে৷ রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল খাতে বরাদ্দ বেড়ে রয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা৷ অবশ্য সিমনা, মোহনপুর এবং বামুটিয়া বিধানসভা ক্ষেত্রে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রথম কিস্তির টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷
কারণ, নির্দিষ্ট সময়ে ওই এলাকায় বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে খরচ করা হয়েছে৷ ধনপুরের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বিধায়ক মানিক সরকার তার বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল খাতে বরাদ্দ অর্থ সঠিক সময়ে খরচ করছেন৷ ফলে, দ্বিতীয় কিস্তির অর্থও খুব শীঘ্রই বরাদ্দ করা হবে৷
এ বিষয়ে শিক্ষা তথা আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দ অর্থ সময়মতো খরচ করার জন্য বিধায়কদের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাদের অসমাপ্ত কাজের জন্য বর্তমান বিধায়করা সমস্যায় পড়ছেন৷ সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি৷