স্বাবলম্বী হতে যুবক যুবতীদের ঋণ প্রদানে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মে৷৷ বেকার যুবক যুবতীদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার ক্ষেত্রে ঋণ প্রদানে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ যদিও, রাজ্য সরকার ব্যাঙ্কগুলিকে বারবার অনুরোধ করেছে যে বেকার যুবক যুবতীদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে জটিলতার সৃষ্টি না করে, বিশেষ করে গ্যারান্টার এর ক্ষেত্রে৷ কিন্তু, ব্যাঙ্কগুলি রাজ্য সরকাররে আবেদন ও অনুরোধের কোন মর্যাদাই দিচ্ছে না৷ এখনো বেকার যুবক যুবতীরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে৷ যেখানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাঙ্কগুলিকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা৷ কিন্তু, ব্যাঙ্কগুলি তা করছে না৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, স্টেট লেবেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির তিনটি বৈঠক হয়েছে গত ষোল মাসে৷ প্রতিটি বৈঠকেই এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে৷ তারপরও আজও ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিতে চক্কর কাটতে কাটতে নিরাশ হয়ে পড়ছেন আবেদনকারীরা৷


আগরতলার কলেজটিলাস্থিত বিবেকানন্দ সংঘে আজ একদিনের স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিবাহ নিবন্ধীকরণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে ক্লাবের ২৭ জন সদস্য ও সদস্যা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন৷ এছাড়া ৩৬ জন দম্পত্তির হাতে বিবাহ নিবন্ধীকরণ সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়৷ প্রদীপ জেলে এই শিবিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিক’তিতে পুপার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা ’াপন করেন৷


অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তদান মহৎ দান৷ রক্তদান জীবন দান৷ আজ রাজ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদানে বিভিন্ন ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও সরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিবাহ নিবন্ধীকরণ ব্যবস্থাও একটা সর্বোত্তম ব্যবস্থা৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব তিন তালাক বিলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, কোনও কিছু করার জন্য ব্যক্তির মধ্যে দ’ঢ়তা থাকতে হয়৷ স্বাধীনতার পর এ দেশ বহু দল শাসন করেছে৷ কিন্তু তিন তালাক বিল নিয়ে কোনও দল তেমনিভাবে ভাবেনি৷ তাই এই বিল পাশ হতে ৭২ বছর সময় লেগে যায়৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র দ’ঢ়তার জন্যই এ বছর এই বিল পাশ হয়েছে৷ এ বিল পাশ হওয়ার ফলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতীয় মহিলাদের নৈতিক জয় হয়েছে৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস৷ তিনি চান শেষ প্রান্তের ব্যক্তিটিও যাতে সরকারের সুুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন৷ এজন্য তিনি প্রশাসনকে সরলীকরণ করেছেন৷ মানুষের কল্যাণে চালু করেছেন বিভিন্ন যোজনা৷ এটাই পারদর্শী সরকারের পরিচায়ক৷ আমরাও রাজ্যে বেকারদের স্ব-নির্ভর করার উদ্যোগ নিয়েছি৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, একমাত্র উদার মানসিকতার জন্যই জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী, প্রয়াত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রমুখ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়েছেন৷ তাই নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করুন৷ প্রতিদান চাইবেন না৷ তবেই আপনাদের অক্লান্ত শ্রম সার্থক রূপ পাবে৷


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ত্রিপুরা খাদি ও গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের চেয়ারম্যান রাজীব ভ-াচার্য, ধলেশ্বরস্থিত রামক’ষ্ণ মিশন সুকলের স্বামী জ্যোতিরানন্দজী ও বিবেকানন্দ সংঘের সভাপতি বিভূতি চৌধুরী বক্তব্য রাখেন৷ স্বাগত ভাষণ দেন ক্লাবের সম্পাদক মণিশংকর দাস৷ স্থানীয় শিল্পীরা উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের পারিষদ মায়ারাণী সাহা, সমাজসেবী দীপক কর ও সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা৷ অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব অসীম দত্ত ও তার ’র হাতে বিবাহ নিবন্ধীকরণের সার্টিফিকেট তুলে দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *