নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ মে৷৷ ধর্মনগর শহরের বিভিন্ন জায়গায় একটি অটো-রিক্সার মাধ্যমে এই ফাঁদ তৈরি করেছে ছিনতাইবাজের একটি দল৷ বিশেষ করে মহিলাদের সোনাদানা টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷ শুক্রবার ধর্মনগর শহরের পুরাতন মটর স্ট্যান্ডে ট্রাফিক পয়েন্টের সামনে পানিসাগর এলাকার একজন মহিলা কল্পনা দাস বাড়ি যাবার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, ঠিক তখনই একটি অটো মহিলার সামনে আসে৷ কিন্তু গাড়িতে আর কোন যাত্রী না দেখে উনার ভয় হয় তাই তিনি প্রথমে যেতে রাজি হন নি, তখনই আরেকটি ছেলে পানি সাগর যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসে, তখনই কল্পনা দাসের কিছু বিশ্বাস হয় তিনি গাড়িতে উঠেন৷
কিন্তু এই যাত্রী ছিল ছিনতাইবাজের একজন৷ অটো ধর্মনগর পুরাতন মটর স্ট্যান্ড থেকে পদ্মপুর এলাকায় গেলে সেই যাত্রী চলন্ত অটো থেকে নেমে যায় একটু পরে আবার অটোতে উঠে একটি মহিলার পার্স ব্যাগ নিয়ে৷ তখন ঐ ব্যাগ নিয়ে অটো চালক ও ছিনতাইবাজ যাত্রী ধীরে ধীরে কথা বলছিল৷ তখনই কল্পনা দাসের কিছুটা সম্বিত ফিরে তিনি জানতে চান কি আছে ঐ ব্যাগে তখন তারা প্রথমে দেখাতে না চাইলেও কল্পনা দাসের কথায় ব্যাগ থেকে সব জিনিস বের করে, তাতে দেখা যায় অল্প কিছু টাকা ও সোনা রয়েছে এবং একটি কাগজ রয়েছে যাতে লেখা ছিল বিয়ের জন্য এই সোনা দিয়ে জিনিস তৈরির কথা৷ তা দেখে কল্পনা দাস অটোর ভেতর থেকে চিৎকার শুরু করেন৷ চিৎকার শুনে তখনই এলাকার মানুষ ছুটে এসে অটোর পেছন ধাওয়া করে বিধু বাবুর বাড়ির সামনে গাড়িটিকে আটকায় তখনই কল্পনা দাস গাড়ি থেকে নেমে পড়েন এবং সাথে থাকা সেই যুবকে মানুষ ধরে ফেলে কিন্তু সেই সময় ঐ যুবক তার কাছে থাকা পার্স ব্যাগ জঙ্গলে ফেলে দেয় সেই সুযোগে অটোটি পালিয়ে যায়৷ এদিকে সকাল থেকে এই ছিনতাইবাজদের ধরতে ধর্মনগর থানার পুলিশ অভিযানে নেমেছিল, এদিকে এই খবর পেয়ে ধর্মনগর থানার ওসি দেবপ্রসাদ রায় ঘটনাস্থল থেকে মানুষ ধারা আটক কৈলাসহরের সুমিন মিয়াঁকে ধরে থানায় নিয়ে আসেন৷ ধর্মনগর থানায় জোর জিজ্ঞাসাবাদে সুমোন মিয়াঁ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷