পাচারকালে গবাদি পশু-সহ প্রচুর মাদক দ্রব্য আটক করল বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ এপ্রিল ৷৷ রাজ্যে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না৷ তবে, আবারও দফাওয়ারি অভিযানে প্রচুর পাচার সামগ্রী আটক করেছে বিএসএফ৷ সীমান্তরক্ষী বাহিনী রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে পাচারের সময় দুটি গবাদি পশু, ১,৮০০ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১৮ কেজি গাঁজা আটক করেছে৷ শুধু তাই নয়, অভিযান চলাকালীন পাচারকারীদের প্রতিরোধের মুখে নন-ল্যাথেল বন্দুকের সাহায্যে বিএসএফ জওয়ানদের আত্মরক্ষা করতে হয়েছে৷


এ-বিষয়ে বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্িন্টয়ারের পদস্থ আধিকারিক সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্ত এলাকায় প্রচুর মাদক দ্রব্য উদ্ধার হয়েছে৷ পাশাপাশি দুটি গবাদি পশু বাংলাদেশে পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে৷ তিনি জানান, সিপাহিজলা জেলার এনসিনগর সীমান্ত দিয়ে পাচারের বিষয়টি বিএসএফের নজরে আসে৷ রাতের অন্ধকারে এক ব্যক্তি কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে সামগ্রীগুলি পাচারের চেষ্টা করছিল৷তখনই বিএসএফ জওয়ানরা অভিযান চালান৷ পাচারকারীদের ধরার চেষ্টা করেও বিএসএফ জওয়ানরা ব্যর্থ হন৷ সঞ্জীব কুমার জানান, ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া ১,৮০০ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে৷ এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৯ লক্ষ টাকা৷ তিনি জানান, সমস্ত ইয়াবা ট্যাবলেট এনসিনগর থানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে, একই দিনে কৈয়াঢেপা সীমান্ত এলাকায় পাচারের সময় দুটি গবাদি পশু উদ্ধার হয়েছে৷ সঞ্জীব কুমার জানান, সিপাহিজলা জেলার কৈয়াঢেপা সীমান্ত এলাকায় অস্বাভাবিক গতিবিধি বিএসএফের নজরে আসে৷ পাচারকারীরা কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা করছিল৷

পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হলে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলে৷ তখন আত্মরক্ষায় বিএসএফ জওয়ানরা নন-ল্যাথেল বন্দুক দিয়ে তাদের মোকাবিলা করেন৷ অবস্থা বেগতিক দেখে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়৷ এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুটি গবাদি পশু উদ্ধার করেছে বিএসএফ৷ এগুলোর বাজার মূল্য ১৮ হাজার টাকা৷ উদ্ধারকৃত দুটি গবাদি পশু মধুপুর থানার হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ৷
অন্যদিকে, বিএসএফ-এর ৭৪ এবং ১৩০ নম্বর ব্যাটালিয়ন মধুরপুর, শ্রীরামপুর এবং পিআর বাড়ি থানাধীন পৃথক সীমান্ত এলাকায় নেশা বিরোধী অভিযানের অধীনে তল্লাশি চালিয়ে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে৷ উদ্ধারকৃত গাঁজা মধুপুর, শ্রীরামপুর এবং পিআর বাড়ি থানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ৷ এ ব্যাপারে সঞ্জীব কুমারের দাবি, ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত গড়ে তোলা হবেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *