তিন বছরের মধ্যে রাজ্যের সব পরিবারে বিনামূল্যে পানীয় জলের সংযোগ মিলবে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ নভেম্বর ৷৷ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছে৷ সন্ধ্যায় মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ বলেন, সম্প্রতি মানুষের ঘরে ঘরে বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ  পানীয় জল পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে অটল জলধারা যোজনার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ মন্ত্রিসভায় এই অটল জলধারা প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়৷ তিনি  বলেন, বর্তমানে গ্রাম ও শহর মিলে রাজ্যে ১০ লক্ষ ৮০ হাজার পরিবার রয়েছে৷ আগরতলা শহ রে মোট পরিবারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯ হাজার ২৯৫টি৷ তার মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৬৯টি পরিবারে পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে৷ বাকী পরিবারগুলিতে পানীয় জলের সংযোগ নেই৷ আগরতলা ছাড়া অন্যান্য শহরে মোট ১ লক্ষ পরিবারের  বাস৷ তারমধ্যে পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে ২০ হাজার পরিবারে৷ ৮০ হাজার পরিবারেই পানীয় জলের সংযোগ নেই৷ গ্রামীণ এলাকায় ৮ লক্ষ ৭০ হাজার পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৫,৩৮০ টি পরিবারে পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে৷ রেেয়ছ ৫২ হাজার  হাইড্রেন্ট পয়েন্ট৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে আগামী তিন বছরের মধ্যে রাজ্যের সবকটি পরিবারে বিনামূল্যে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে৷ তিনি বলেন, এই  প্রকল্পটি চালু  হওয়ার ফলে জলের অপচয় রোধে করা যাবে৷ তাছাড়া,  পানীয় জলের সংযোগের জন্য আগরতলা পুরনিগম এলাকায় কানেকশন চার্য ১৫০০ টাকা এবং পাইপ ও অন্যান্য খরচ বাবদ যে টাকা দিতে হত তা দিতে হবে না৷ অনুরূপভাবে আগরতলা পুর নিগমের বাইরে অন্যান্য শহর এলাকায় পানী জলের কানেকশন চার্জ  বাবদ ৫০০ টাকা এবং পাইপ ও অন্যান্য খরচ দিতে হবে না৷ গ্রামীণ এলাকায়ও পানীয় জলের সংযোগ বাবদ আবেদনকারীকে কোন কানেকশন চার্জ এবং পাইপ ও অন্যান্য খরচ  বাবদ কোন টাকা দিতে হবে না৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য আগামী তিন বছরে সরকারের ব্যয় হবে ১০৫ কোটি টাকা৷

আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরেকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ এই সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি  বছরের ১৫ মে আমবাসা মহকুমার কমলাছড়া ভিলেজের স্বপন দেবর্মা  ভূমিধবসে রেললাইনের ত্রুটির সংকেত দিয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা থেকে অনেকের জীবন রক্ষা করে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন৷ সেদিন নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে স্বপন দেববর্মা ও তার কন্যা রেলের পাইলটকে সংকেত পাঠিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, আজ রাজ্য মন্ত্রিসভা স্বপন দেববর্মাকে রাজ্যের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে নিয়মিত পদে নিয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য নির্দারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বপন দেববর্মার না থাকার কারণে তার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতামান শিথিল করে তার নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদিত হয়৷ তাছাড়া মন্ত্রিসবার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় স্বপন দেববর্মার এক কন্যার লেখাপড়ার সামগ্রিক দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার৷ এছাড়া, রাজ্য মন্ত্রিসভায় আজ মহাকরণে ১০০টি এলডি ্যােসিসেন্টন কাম টাইপিস্ট পদে টিপিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *