নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ অক্টোবর৷৷ আইআর ব্যাটালিয়ান গঠন করতে গেলে মানতে হবে কেন্দ্রের নির্দেশিকা৷ কিন্তু, রাজ্যের বেকারদের কথা চিন্তা করে দিল্লিতে নিয়োগের আনুপাতিক হার পরিবর্তনের দরবার করছে রাজ্য সরকার৷ কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী আইআর ব্যাটালিয়ানে নিয়োগের ক্ষেত্রে মানতে হবে ৭৫:২৫ আনুপাতিক হার৷ অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ রাজ্যের প্রার্থী এবং ২৫ শতাংশ বর্হিরাজ্য থেকে নিয়োগ করতে হবে৷ কিন্তু, ২০১০ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার রুলস সংশোধনের মাধ্যমে আনুপাতিক করেছিল ৮৫:১৫৷ অবশ্যই রাজ্যের প্রার্থীদের অধীক সুযোগ দেওয়ার জন্য তখন ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, তাতে দীর্ঘ আট বছরে নতুন কোন আইআর ব্যাটেলিয়ান কেন্দ্রের কাছ থেকে আদায় করতে পারেনি রাজ্য৷
রাজ্যে বর্তমানে টিএসআর’র ১২টি ব্যাটেলিয়ান রয়েছে৷ এরমধ্যে ৯টি আইআর ব্যাটেলিয়ান৷ ১৯৮৩ সালে রাজ্যে প্রথম টিএসআর অ্যাক্ট তৈরি হয়েছিল৷ সে মোতাবেক ১৯৮৪ সালে নিয়োগ নীতি তৈরি হয়৷ তখন থেকে ৭৫:২৫ আনুপাতিক হারেই নিয়োগ পদ্ধতি চলেছে৷ কিন্তু, ২০১০ সালের ২৫ সেপ্ঢেম্বর তৎকালীন রাজ্য সরকার টিএসআর অ্যাক্টের রুলস’র অষ্টম সংশোধনী আনে৷ তাতে বলা হয়, টিএসআর নিয়োগের ক্ষেত্রে মানা হবে ৮৫:১৫ আনুপাতিক হার৷ তার পিছনে রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, রাজ্যে বেকারের সংখ্যা প্রচুর৷ এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের বেকাররা উপকৃত হবেন৷
কিন্তু, রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে বেকাররা খুব একটা উপকৃত হয়নি বলেই মনে হচ্ছে৷ কারণ, গত আট মাসে একটি আইআর ব্যাটেলিয়ানের অনুমোদন আদায় করতে পারেনি রাজ্য সরকার৷ আইআর ব্যাটেলিয়ান পেতে গেলে মানতে হবে কেন্দ্রের নির্দেশিকা৷ সে অনুসারে আনুপাতিক হার মেনে করতে হবে নিয়োগ৷ ফলে, রাজ্যও সিদ্ধান্ত বদল করতে রাজী হয়নি৷
রাজ্যে সরকার বদল হতেই কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনেই নিয়োগ হবে এই শর্তে দুটি আইআর ব্যাটেলিয়ানের অনুমোদন আদায় করে নেয় রাজ্য সরকার৷ সে মোতাবেক ২০১৪টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ কিন্তু, এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে৷ রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যের বেকাররা অধীক সুযোগ নিক৷ কিন্তু, কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে তা সম্পূর্ণ সম্ভব নয়৷ তাই, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ৮৫:১৫ আনুপাতিক হার মেনেই নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হোক৷ ইতিমধ্যে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ সচিবালয়ের জনৈক আধিকারীকের কথায়, রাজ্যের এই আবেদনে অনুমোদন দিতে গেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মঞ্জুরির প্রয়োজন রয়েছে৷ ফলে, বিষয়টি অনেকটা সময় সাপেক্ষ বলেই অনুমান করা হচ্ছে৷