নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুন৷৷ প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান এবং এনসিটিই নির্দেশিত যোগ্যতাসম্পন্ন হলে সর্বশিক্ষার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিতকরণে রাজ্য সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷ বিধানসভায় বিধায়ক ভানুলাল সাহার তারকাচিহ্ণিত প্রশ্ণের জবাবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে প্রাথমিক স্তরে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ১৫ হাজার টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ২০ হাজার টাকা বেতন খাতে অর্থ মঞ্জুরি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সর্বশিক্ষা অভিযান এবং রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান এই দুটি প্রকল্প একত্রিত হয়ে সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্প হয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরের বেতন খাতে অর্থ মঞ্জুর করেছে৷ এই অর্থ সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে মঞ্জুর হয়েছে৷ এই প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন খাতে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত অর্থ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে৷
তাঁর কথায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বর্তমান হারে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন ভাতা বাবদ মোট ১৭৯ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা প্রয়োজন৷ তবে রাজ্য সরকারে আরওপি ২০১৭ অনুসারে বেতন ভাতা দিতে গেলে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন বাবদ মোট প্রয়োজন ১৮৮ কোটি ৭৭ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা৷
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, সর্বশিক্ষা অভিযান রাজ্য মিশনের নিয়ম অনুসারে এ রাজ্যে এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের নিযুক্ত করা হয়েছে৷ বর্তমানে নতুনভাবে প্রবর্তিত সমগ্রশিক্ষা অভিযান প্রকল্প প্রাথমিক স্তরে ২৭১৬ জন এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ২৭৬২ জন সহ মোট ৫৪৭৮ জন চুক্তিবদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছেন৷ বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে ২১৯০৭ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ২৭৭১১ টাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন পাচ্ছেন৷
রাজ্য সরকার চুক্তিবদ্ধ সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবন-জীবিকা চাকরীর নিয়মিতকরণের মাধ্যমে সুনিশ্চিত হোক তা চাইছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান শিক্ষার অধিকার আইন মেনে এবং এনসিটিই নির্দেশিত শিক্ষকদের যোগ্যতার মান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিতকরণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ালে রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷