নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ এপ্রিল৷৷ ককবরক ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করা এই মুহুর্তে সম্ভব হচ্ছে না৷ সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরীর চিঠির জবাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরণ রিজিজু৷ তাঁর কথায়, ককবরক ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্তির জন্য পরীক্ষানিরিক্ষা চলছে৷ কিন্তু, ভাষা এবং উপভাষার মধ্যে মানদন্ড এখনো নির্ণয় হয়নি৷
আঞ্চলিক ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাক্ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল ককবরক ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ জনজাতি ভাবাবেগে এই প্রতিশ্রুতি অনেকটাই স্পর্শ করতে পেরেছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
সম্প্রতি সংসদে এক লিখিত প্রশ্ণে সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা সহ ককবরবক ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানতে চান৷ এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর জবাব, ককবরক সহ প্রধান দেশীয় ভাষাগুলিকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে পরীক্ষা নিরিক্ষা করছে৷ সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির প্রভাবে ভাষা এবং উপভাষার ক্রমবিকাশ প্রগতিশীল৷ ফলে ভাষার মানদন্ড নির্ণয় করা খুবই মুশকিল হচ্ছে৷ ফলে, উপভাষার সাথে তফাত খুঁজে বের করা কিংবা সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্তি কোনটাই স্থির করা যাচ্ছে না৷
রিজিজুর আরো জানিয়েছেন, এবিষয়ে ১৯৬৯ সালে পাহলা কমিটি এবং ২০০৩ সালে সীতাকান্ত মহাপাত্র কমিটি এই দুটি কমিটি গঠন করা হলেও কোন ইতিবাচক ফল মিলেনি৷ তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতিদের ভাবাবেগ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং ভাষাগুলিকে অন্তর্ভুক্তি হোক চাইছে৷
এদিকে, সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিল সংশোধনের মাধ্যকে ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদকে অধিক ক্ষমতায়নের বিষয়ে রিজিজু জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং বিষয়টি কেন্দ্রের বিবেচনাধীন রয়েছে৷
সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরীর বক্তব্য, বিজেপি’র প্রাক্ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির তালিকায় এডিসিকে অধিক ক্ষমতা এবং সরাসরি অর্থ প্রদানের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ তাঁরা ককবরক ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্তির জন্য তদ্বির হবেন সেই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল৷ তাই, কেন্দ্রেকে তাঁদের দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিতে চেয়েছি৷ এজন্যই এই প্রশ্ণগুলির উত্তর জানতে চেয়েছি৷ শ্রীচৌধুরীর মতে, বিজেপি পরিচালনাধীন সরকার গঠিত হওয়া সত্বেও এই বিষয়গুলি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, তাই হয়তো আইপিএফটি এখন প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে৷