
শুক্রবার সংসদে নিজেদের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনা করে ইমপিচমেন্ট নোটিশের বিষয়ে চূড়ান্ত অালোচনা করেন তাঁরা। বৈঠকের পর বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ সাংবাদিকদের নোটিশ দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বলে জানান। বৈঠকে আজাদ ছাড়াও কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল, রণদীপ সুরজেওয়ালা, সিপিআইয়ের ডি রাজা ও এনসিপির বন্দনা চবন উপস্থিত ছিলেন। তবে এই ইমপিচমেন্ট করার উদ্যোগে সামিল হলেও তা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে সরে এসেছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, পাঁচটি অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণের অভিযোগে তাঁরা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া চান। উনি যেভাবে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন, বিশেষ কয়েকটি মামলা যেভাবে বিবেচনা করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, ওনার আচরণ সাংবিধানিক রীতিনীতি ভেঙেছে।
কংগ্রেস নেতা কপিল সিবলের বক্তব্য, প্রধান বিচারপতির আচরণের প্রতি ইঙ্গিত করে অন্য বিচারপতিরা যখন মনে করছেন যে, বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা বিপন্ন হতে বসেছে, তখন আমরা কি চুপ করে থাকব, কিছু করব না?
প্রসঙ্গত, সোহরাবুদ্দিন শেখ সংঘর্ষ মামলার শুনানি করা বিচারক বি এইচ লোয়ার মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে পেশ করা একগুচ্ছ পিটিশন বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ খারিজ করেছে। এরপরেই এদিনই বিরোধীরা তাঁর ইমপিচমেন্ট চেয়ে নোটিশ দিল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে গেলে কম করে ৫০ জন সাংসদের সমর্থনের প্রয়োজন। লোকসভায় প্রয়োজন ১০০ সাংসদের সম্মতি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে ইমপিচমেন্ট নোটিশ জমা পড়লে তিনি এর যুক্তি অাছে কিনা, সেটা ঠিক করবেন। তিনি যদি মনে করেন, নোটিশের ভিত্তি আছে, তবে তিনি একটি কমিটি তৈরি করতে পারেন অথবা নোটিশটি প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিরোধীদের এদিনের নোটিশ গৃহীত হলে এই প্রথম ভারতের ইতিহাসে কোনও প্রধান বিচারপতি ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হবেন।